নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন চায় ৮০ রাজনৈতিক দল
নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনে রোববার (৩০ অক্টোবর) পর্যন্ত ৮০টি দল আবেদন করেছে। এদিন ছিল আবেদনের শেষ দিন। এর মধ্যে নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতে ইসলামীও অন্য নামে নিবন্ধনের আবেদন করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া আরও রয়েছে মুসকিল লীগ, ইত্যাদি পার্টি, বেকার সমাজ, বৈরাবরীসহ বিভিন্ন নাম।
শেষ দিন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান (মান্না), সদস্যসচিব নুরুল হক নুরুর গণঅধিকার পরিষদসহ বেশ কয়েকটি দল নিবন্ধনের জন্য ইসিতে আবেদন করেছেন। আবেদনকারী দলের বেশিরভাগই নামসর্বস্ব। কোনো দলের সাইনবোর্ড থাকলেও নিজস্ব অফিস নেই। অনেকেই নিজের বাসার ঠিকানা বা দোকানের ঠিকানায় দলীয় অফিস দেখিয়েছেন।
জানা যায়, ২০১৮ সালে আবেদন করা একটি দলও নিবন্ধনের যোগ্য বিবেচিত হয়নি। তবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরে আদালতের আদেশে নিবন্ধন পায় দুটি দল। এবারও তিন-চারটি ছাড়া সবগুলো দল বাদ পড়তে পারে বলে ইসির কর্মকর্তারা জানান।
এবারের নতুন ৮০টি দলের মধ্যে হাস্যকর নামগুলো হচ্ছে- মুসকিল লীগ, ইত্যাদি পার্টি, বেকার সমাজ, বৈরাবরী পার্টি, বাংলাদেশ বিদেশ প্রত্যাগত প্রবাসী ও ননপ্রবাসী কল্যাণ দল, সর্বজনীন দল, গজো প্রভৃতি।
ইসির যুগ্ম সচিব আসাদুজ্জামান আরজু জাগো নিউজকে বলেন, সর্বশেষ একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে ২০১৮ সালেও নামসর্বস্ব ৭৬ দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছিল। সেসময় কিছু হাস্যকর নাম ছিল। কিন্তু এবার সংখ্যাটা বেশি। ওই সময় নাকফুল বাংলাদেশ, ঘুস নির্মূল পার্টিসহ অদ্ভুত নামের অনেক রাজনৈতিক দল আবেদন করেছিল।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি (বিডিপি) নামে নতুন রাজনৈতিক দল। তবে অভিযোগ উঠেছে উচ্চ আদালতের রায়ে নিবন্ধন বাতিল হওয়া জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে থাকা ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে দলটি। ২৬ অক্টোবর নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনে বিডিপি পার্টির জেনারেল সেক্রেটারি মো. কাজী নিজামুল হকের সই করা আবেদনপত্র জমা দেওয়া হয়। আবেদনের সঙ্গে ইসির শর্ত সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য সংযুক্তি আকারে দেওয়া হয়েছে।
তবে ইসির সব শর্ত পূরণ করলে জামায়াতে ইসলামী অন্য নামে আবেদন করলে নিবন্ধন পেতে পারে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।
এইচএস/আরএডি/জেআইএম