পূর্বাচলে ঢাবির ১০ একর জমি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়কে দেওয়ার সুপারিশ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৪৫ পিএম, ২৫ অক্টোবর ২০২২
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর পূর্বাচলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জন্য বরাদ্দ ৫২ একর জমি থেকে ১০ একর সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের জন্য চায় সংসদীয় কমিটি। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে সারসংক্ষেপ পাঠানোর সুপারিশ করেছে কমিটি।

মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়।

ঢাবি কর্তৃপক্ষ ওই জমি নিতে অপরাগতা প্রকাশ করেছে- এমন দাবি করে সংসদীয় কমিটি এ সুপারিশ করে। অবশ্য ঢাবি দাবি করেছে, তারা অপারগতা প্রকাশ করেনি। জমিটি গ্রহণে সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছে।

সংসদীয় কমিটির সভাপতি সিমিন হোসেনের (রিমি) সভাপতিত্বে বৈঠকে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ ও কাজী কেরামত আলী অংশ নেন।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, পূর্বাচলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সংরক্ষিত ৫২ একর ভূমি গ্রহণে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অপারগতা প্রকাশ করায় ওই জমি হতে ১০ একর সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নামে বরাদ্দের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে সারসংক্ষেপ পাঠাতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কমিটি মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে।

পূর্বাচলে ক্যাম্পাস গড়ে তোলার জন্য ২০১৮ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে ৫১ দশমিক ৯৯ একর জমি প্রাথমিকভাবে বরাদ্দ দেয় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। অর্থ বরাদ্দের জটিলতায় ওই জমি ঢাবি এখনো রাজউকের কাছ থেকে বুঝে পায়নি।

ঢাবির উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, আমরা আপারগতা প্রকাশ করেছি বলে যেটা বলা হয়েছে, তা সত্য নয়। বরং জমি গ্রহণে আমরা সারসংক্ষেপ পাঠিয়েছি। যেটা শিক্ষা মন্ত্রণালয় হয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিবেচনার জন্য আছে। জমি আমাদের কেন প্রয়োজন, সেটা বলা হয়েছে। আমরা চাই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ওই জমি কেনার ফান্ড সরকার থেকে দেওয়া হবে।

রাজউকের পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুল হক বলেন, পূর্বাচল নতুন শহরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে ৫২ একর জায়গা দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দের টাকা দিয়েছে কি না, তা সম্পত্তি বিভাগে খোঁজ নিয়ে জানতে হবে। তবে তারা জায়গা বরাদ্দ নিতে কোনো অপারগতা প্রকাশ করেনি।

গত মাসে অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, পূর্বাচলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুকূলে ৫২ একর জমি থেকে সাংস্কৃতিক চর্চা বিকাশের জন্য ৩-৫ একর জমি বরাদ্দের জন্য প্রধানমন্ত্রী বরাবর সারসংক্ষেপ প্রেরণ করা যেতে পারে।

জানতে চাইলে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, আমরা ১০ একর জায়গা চেয়েছি। যেটা যে কোনো সুবিধাজনক জায়গা চেয়েছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বলে কথা না। এটা আগের কার্যপত্রে লেখা হয়েছিল। পরে আমি বলেছি, সুন্দর করে এভাবে লেখেন যে, আমাদের ১০ একর জায়গা দরকার, সেটা সুবিধাজনক ভালো জায়গা যেন দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গা তারা যদি না নিতে পারে। তখন সরকার সিদ্ধান্ত নেবে কাকে দেবে। তখন আমরা আমাদের জন্য বলবো।

এইচএস/এএএইচ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।