টেনিস-ক্রিকেট-টেনিস, আশ্চর্য প্রতিভা

টেনিস-ক্রিকেট-টেনিস। অস্ট্রেলিয়ার অ্যাশলে বার্টির খেলোয়াড়ি জীবনের সারমর্ম হতে চলেছে এমন একটা বাক্য। ছোটবেলায় টেনিসে হাতেখড়ি। জুনিয়র উইম্বলডনও জিতেছেন। যখন মনে হচ্ছিল ভবিষ্যতে পেশাদার হিসেবে দেখা যাবে এই প্রতিভাকে, তখনই টেনিস র্যাকেট ছেড়ে দিয়ে ক্রিকেটে মন দিলেন। এখন আবার ফিরতে চলেছেন টেনিসেই।
২০১১ সালে বার্টি জুনিয়র উইম্বলডনে মেয়েদের শিরোপা জেতেন। তখন তার বয়স মাত্র ১৫ বছর। এরপর অস্ট্রেলিয়ান ওপেন, উইম্বলডন বা যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের ডাবলসের ফাইনালে পৌঁছান। সেটা ২০১৩ সাল। খেলোয়াড় জীবনের সর্বোচ্চ র্যাঙ্কিং ১২৯ -এ পৌঁছালেন তিনি। নিজের দেশের হয়ে ফেড কাপে প্রতিনিধিত্ব করেন।
তখনই অস্ট্রেলিয়ার টেনিস মহলে বলা হতে থাকে, ভবিষ্যতে দেশের এক নম্বর মুখ বোধ হয় চলে এসেছে। বার্টি বলছেন, ‘এটা সত্যিই অবিশ্বাস্য ছিল। খুব তাড়াতাড়ি সাফল্য আসছিল। কেউ আমাকে চিনত না এক সময়, এরপর রাতারাতি জুনিয়র উইম্বলডন জিতে প্রচারের আলোয় চলে আসি। তবে অল্প বয়সে এত খ্যাতি পেয়ে আমি আর তখন খেলাটাকে উপভোগ করতাম না। তখন মনে হল নতুন কিছু করি।’
যেই চিন্তা। এরপর ক্রিকেট খেলা শুরু। অলরাউন্ডার হিসেবে নিজেকে ক্রমেই প্রমাণ করতে থাকেন। মেয়েদের বিগ ব্যাশ লিগে ব্রিসবেন হিটের হয়েও খেলে ফেলেছেন। অভিষেকেই তার ব্যাট থেকে ২৭ বলে ৩৯ রান অনেকেরই নজর কাড়ে। দ্বিতীয় বিভাগের ক্লাব থেকে উন্নতি করারও চেষ্টা করেছেন ক্রমাগত; কিন্তু এখন আবার প্রথম প্রেম পিছু ডাকতে শুরু করেছে তাকে, ‘আমি আবার টেনিসে ফিরতে চাই। আর ক্রিকেট ভালো লাগছে না। দেখা যাক, তাড়াতাড়িই ডব্লিউটিএ -র প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলব।’
আইএইচএস/এমএস