ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং
কোস্ট গার্ডের টহল জোরদার, প্রস্তুত উদ্ধারকারী দল
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৪০ পিএম, ২৪ অক্টোবর ২০২২
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ গতি বাড়িয়ে এগোচ্ছে বাংলাদেশের উপকূলের দিকে। আগে এটি ২০ কিলোমিটার গতিতে বাংলাদেশের দিকে এগোলেও এখন গতি বেড়ে হয়েছে ৩০ কিলোমিটার। গভীর সমুদ্রের সব নৌযানকে উপকূলের কাছে অবস্থান নিশ্চিত করতে টহল জোরদার করেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড। এছাড়া দুর্যোগ পরবর্তী যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে কোস্ট গার্ডের উদ্ধারকারী দল।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের নির্দেশনা বাস্তবায়নে বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে কোনো নৌযান যাতে সমুদ্রে যেতে না পারে সেজন্য ঘাট, বন্দরসহ সব উপকূলে নিয়মিত টহল জোরদার করেছে কোস্ট গার্ড পূর্ব জোন।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে কোস্ট গার্ড পূর্ব জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লে. বিএন কাজী আল-আমিন জাগো নিউজকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গত ২০ অক্টোবর পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপের সৃষ্টি হয় এবং গত ২৩ অক্টোবর সন্ধ্যায় লঘুচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়। আবহাওয়া অধিদপ্তর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে রূপান্তরিত হওয়ার তথ্য দিয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ সতর্কবার্তা অনুযায়ী গভীর সমুদ্রের সব নৌযানকে উপকূলের কাছে ঘাটে অবস্থান করতে বলা হয়েছে। কোস্ট গার্ড পূর্ব জোন ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং সম্পর্কে জনসচেতনামূলক সতর্কবার্তা প্রচার করছে।
কাজী আল-আমিন আরও বলেন, আবহাওয়া অধিদপ্তরের নির্দেশনা বাস্তবায়নে কোস্ট গার্ড পূর্ব জোনের অধীনে চট্টগ্রাম সদরঘাট, পতেঙ্গা ১৫ নম্বর ঘাট, ভাটিয়ারী, সন্দ্বীপ গুপ্তাছড়া ঘাট, বাহারছড়া শ্যামলাপুর ঘাট, কক্সবাজার নুনিয়াছড়া ঘাট, কুতুবদিয়ার দরবার ঘাট, সেন্টমার্টিন জেটিঘাট, শাহপুরী জালিয়াপাড়া ঘাট, টেকনাফ বাজার ঘাটসহ সব ঘাট থেকে বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে কোনো নৌযান যাতে সমুদ্রে যেতে না পারে এর জন্য নিয়মিত টহল দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া সব ঘাটের বোট মালিক সমিতির সভাপতিসহ জেলেদের সাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ সম্পর্কে সতর্ক করা হচ্ছে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অবগত করে তাদের মাধ্যমে সর্বস্তরের মাঝি-মাল্লাদের সাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ সম্পর্কে সতর্ক করা হচ্ছে এবং উপকূলীয় জনসাধারণকে কাছের আশ্রয়কেন্দ্র ও নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। এছাড়া দুর্যোগ পরবর্তী যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় কোস্ট গার্ডের উদ্ধারকারী দল প্রস্তুত রয়েছে।
টিটি/এমএএইচ/জেআইএম