যে কারণে উত্তরার কিংফিশার বারের মালিককে ছেড়ে দিলো ডিবি
দেশত্যাগের চেষ্টার অভিযোগে উত্তরার কিংফিশার রেস্টুরেন্টের লেকভিউ বার ও গুলশানে একই প্রতিষ্ঠানের আরেকটি বারের মালিক মো. মুক্তার হোসেনকে আটক করে বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশ। পরে খবর দেওয়া হয় ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশকে।
রোববার (২৩) দিবাগত রাতে দেশত্যাগের সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে আটক করা হয়। তবে আটকের পরও মাদক মামলার এই আসামিকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় ডিবি পুলিশ।
কারণ, উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন নিয়েছিলেন মুক্তার হোসেন। জামিনের নথি দেখিয়েই ডিবি পুলিশের কাছ থেকে মুক্ত হন তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেট্রো পলিটন গোয়েন্দা উত্তরা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. আকরামুল হোসেন।
তিনি বলেন, বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশ প্রথমে তাকে আটক করেন। পরে ডিবি পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
আকরামুল হোসেন বলেন, গত ৬ অক্টোবর উত্তরার লেকভিউ বারে ডিবি অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ ও বিয়ার জব্দ করে। ওই রাতে মুক্তারের গুলশানের বারেও অভিযান চালানো হয়। পরে গুলশান থানায় দায়ের করা একটি মামলায় মুক্তারকে আসামি করা হয়।
মুক্তার হোসেন মাদক মামলায় উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিনে ছিলেন। সে কাগজ দেখানোয় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
জানা গেছে, ২০০৮ সালের দিকে রাজধানীর বারিধারায় ‘এভিনিউ’ নামে একটি রেস্টুরেন্টে ওয়েটার হিসেবে কাজ শুরু করেন মো. মুক্তার হোসেন। এরপর গুলশানে ‘লেক ভিউ’ রেস্টুরেন্টেও ওয়েটার হিসেবে ছিলেন। সেই মুক্তার এখন শত কোটি টাকার মালিক। তার যুক্তরাষ্ট্রে গাড়ি-বাড়ি আছে। সেখানে বসবাস করেন তার স্ত্রী ও সন্তানরা।
রাজধানীর উত্তরায় মুক্তার হোসেনের একটি বার রয়েছে। এই বারে প্রতিদিন সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের যাতায়াত ছিল। তাদের মধ্যে রয়েছেন সরকারি উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা, আইনজীবী, চিকিৎসকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ।
টিটি/এমআরএম/এমএস