জনগণের বিবেক জাগিয়ে তুলতে হবে : মতিয়া চৌধুরী
দেশের সঠিক ইতিহাস জনগণের সামনে তুলে ধরে তাদের বিবেককে জাগিয়ে তুলতে হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এবং কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী। রোববার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে সম্মেলন কক্ষে গণতন্ত্রী পার্টির সাবেক সভাপতি আহমদুল কবির এবং মো. নূরুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার : জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধকতা’ শীর্ষক স্মারক বক্তৃতা এবং স্মরণ সভায় এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী হলেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে তিনি তার রাজনৈতিক দল বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন। স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিকে বিএনপি ক্ষমা করে দেয়ায় তারা সকলেই স্বাভাবিক ভাবে সে সংগঠনের সদস্য হয়ে যায়।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, আজকে শিক্ষাখাত নিয়ে অনেক সমালোচনা হচ্ছে। যারা শিক্ষা খাত নিয়ে কোন কিছুই করেননি, তারা যখন সমালোচনা করেন, তখন হাসবো না কাঁদবো বুঝতে পারি না।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রী পার্টির প্রয়াত সভাপতি নূরুল ইসলামের হত্যাকান্ডের তদন্ত কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। তদন্তের ব্যাপারে সরকারের কোন শৈথিল্য নাই।
মতিয়া বলেন, সাত খুন মামলার আসামী শফিউল আলম প্রধানকে জিয়া যেমন মাফ করে দিয়েছিলেন তেমনি মেধাবী ছাত্রদের নিয়ে হজ্জ্বের জন্য ব্যবহৃত জাহাজ হিজবুল বাহারে করে সিঙ্গাপুরে প্রমোদ ভ্রমনে গিয়েছিলেন।
গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি মন্ডলীর সদস্য প্রকৌশলী কামরুল আহসান খান পারভেজের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশের ওয়াকার্স পার্টির সভাপতি এবং বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এমপি, ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পংকজ ভট্টাচার্য, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক নুরুর রহমান সেলিম, সভাপতি মন্ডলীর সদস্য মাহমুদুর রহমান বাবু, অধ্যাপক ডা. শহীদুল্লাহ শিকদার ও প্রয়াত মো. নূরুল ইসলামের স্ত্রী অধ্যাপিকা রুবী রহমান প্রমুখ।