রোগীর স্বজনদের সঙ্গে ঝগড়া : ওসমানীতে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ধর্মঘট

রোগীর স্বজনদের সঙ্গে ঝগড়ার জের ধরে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ধর্মঘট ডেকেছেন। বুধবার সন্ধ্যায় তারা ধর্মঘটের ডাক দেন। ধর্মঘট ডাকার পর থেকে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা হাসপাতালের ওয়ার্ডগুলোতে চিকিৎসা দেয়া থেকে বিরত রয়েছেন।
ইন্টার্ন চিকিৎসকদের অভিযোগ, এক রোগীর স্বজনরা ইন্টার্ন চিকিৎসকদের উপর হামলা চালিয়েছেন। তবে রোগীর স্বজনরা পাল্টা অভিযোগ করে জানান, চিকিৎসা অবহেলার বিষয়ে জানতে চাইলে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা রোগীর স্বজনকে মারধর করেন।
জানা যায়, গত মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় ওসমানী হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয় হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের অন্তঃসত্ত্বা সোমা আক্তারকে। বুধবার দুপুরে তার প্রসব ব্যথা ওঠলে চিকিৎসক আলাট্রাসনোগ্রাম টেস্ট করান। টেস্টের রিপোর্ট দেখে চিকিৎসক জানান, গর্ভেই বাচ্চা মারা গেছে। তবে কিছুক্ষণ পর সোমা বেগম নিজের গর্ভে বাচ্চার নড়াচড়া অনুভব করতে পান।
এ বিষয়টি নিয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলতে যান সোমার ভাই তামিম আহমদ ও বোন পান্না আক্তার। এসময় দায়িত্বরত ইন্টার্ন চিকিৎসক তামান্না জান্নাত রিমু তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। এক পর্যায়ে তাদের সঙ্গে ডা. রিমুর কথা কাটাকাটি হয়।
রোগীর ভাই তামিম আহমদ অভিযোগ করে বলেন, আমরা ডাক্তার ডাকতে গেলে তামান্না আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। এসময় কথা কাটাকাটি হলে সব ইন্টার্ন ডাক্তাররা এসে আমাদের ওপর হামলা করে। আমার আরেক বোন পান্না আক্তারকে তারা এখন পর্যন্ত আটক করে রেখেছেন।
তবে ওসমানী হাসপাতাল ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. মাজহারুল হক অমিত জাগো নিউজকে বলেন, তামিম ও পান্না বাইরে থেকে সন্ত্রাসীদের নিয়ে এসে ডা. তামান্নার ওপর হামলা চালিয়েছেন। এ হামলার প্রতিবাদে ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবিতে আমরা ধর্মঘট আহ্বান করেছি।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত প্রসূতি সোমা আক্তারকে ওসমানী হাসপাতাল থেকে বেসরকারি মহানগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে সোমার বোন পান্নাকে আটকে রেখেছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ নিয়ে বৈঠকে বসেছে পুলিশ।
এ ব্যাপারে ওসমানী হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. আব্দুছ ছালামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
ছামির মাহমুদ/বিএ