‘কর্মকর্তাদের দুর্নীতিতে বেনারসি পল্লি প্রকল্প মুখ থুবড়ে পড়েছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:২৫ পিএম, ১১ অক্টোবর ২০২২

মন্ত্রণালয় ও প্রকল্প কর্মকর্তাদের অসহযোগিতা ও দুর্নীতির কারণে প্রধানমন্ত্রীর বেনারসি শ্রমিকদের কল্যাণে নেওয়া উদ্যোগ মুখ থুবড়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল।

তিনি তাঁত শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে তাঁতিদের বিভিন্ন সমস্যা ও সুযোগ-সুবিধা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করার আশ্বাস দেন।

মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বেনারসি পল্লী তাঁতি বাস্তবায়ন সমিতি আয়োজিত এক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বেনারসি শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে তাঁত শ্রমিকেরা নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। ব্রিটিশ আমল থেকে এ শিল্পকে নানাভাবে বন্ধ করার চেষ্টা হয়েছে। এখনো কিছু সুবিধাবাদী লোক এ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে আবার কাজ করবো। বেনারসি শ্রমিকদের দাবি পূরণের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর কাছে উত্থাপন করবো।

তিনি বলেন, মানুষের কষ্ট হয় এমন কাজ প্রধানমন্ত্রী কখনোই করেননি। যখনই বিশ্বে নিত্যপণ্যের দাম কমেছে তখনই তিনি দাম কমিয়ে দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা কখনো জনগণের অকল্যাণ হয় এমন কাজ করবেন না।

সমিতির সদস্যদের কিছু কিছু মৌলিক চাহিদা বাসস্থান, খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা ও পুনর্বাসনসহ বেনারসি পল্লির তাঁতিদের অধিকার সুরক্ষা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হাজী আব্দুস সাত্তার।

তিনি বলেন, বেনারসি পল্লির তাঁতিদের জন্য বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে যেমন, জামালপুরে নকশী কাঁথা তাঁতি পল্লি ও মাদারীপুর শিবচরে বেনারসি পল্লি প্রকল্প গঠন করার প্রস্তাব ঘোষণা করা হয়েছে। এভাবে মিরপুর ভাষানটেক ঢাকা বেনারশী পল্লী প্রকল্পে ৯০৬ প্লট রয়েছে। এ প্রকল্পে আমাদের বেনারসি পল্লি তাঁতি বাস্তবায়ন সমিতির নামে ৬০০টি প্লট যেন বরাদ্দ দেওয়া হয়। এজন্য ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

সাধারণ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. সামসুল হক আক্কাস ও তাইজুল ইসলামসহ বেনারসি শ্রমিক নেতারা।

এমআইএস/এমকেআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।