ঘরছাড়া তরুণদের ভোলায় প্রশিক্ষণ দিতো নতুন একটি জঙ্গি সংগঠন: র্যাব
নিষিদ্ধ ঘোষিত বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন থেকে কয়েকজন সদস্যকে একত্রিত করে ২০১৭ সালে আরেকটি নতুন জঙ্গি সংগঠনের কার্যক্রম শুরু হয়। সংগঠনের নাম দেওয়া হয় ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’। যার বাংলা অর্থ- পূর্বাঞ্চলীয় হিন্দের জামাতুল আনসার।
র্যাবের দাবি, বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন- বিশেষত জেএমবি, আনসার আল ইসলাম এবং হুজির বিভিন্ন পর্যায়ের কিছু নেতাকর্মী একত্রিত হয়ে এই উগ্রবাদী জঙ্গি সংগঠনের কার্যক্রম শুরু করে।
২০১৭ সাল থেকে তরুণদের জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ করে এই নতুন মঞ্চে ভেড়ানোর চেষ্টা শুরু হয়। তাদের পরিকল্পনায় কতজন তরুণ উদ্বুদ্ধ হয়ে এই প্ল্যাটফর্মে ভিড়েছে সে সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই। তবে ঘরছাড়া তরুণদের ভোলার চরাঞ্চলে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে বলে জানায় র্যাব।
সম্প্রতি দেশের কুমিল্লা ও অন্য অঞ্চল থেকে বাড়ি ছেড়ে কথিত হিজরত করেন অর্ধশতাধিক যুবক। যাদের মোটিভেশন, প্রশিক্ষণসহ সশস্ত্র সংগ্রামের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণে নেতৃত্ব দিচ্ছেন জেএমবি, নব্য জেএমবি, হিজবুত তাহরীরসহ অন্যান্য নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন থেকে আসা নেতৃস্থানীয়রা।
বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, মূলত তাত্ত্বিক আলোচনা, কোনো ঘটনাকে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরে সরকার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংবিধানের বিরুদ্ধে কর্মীদের ক্ষেপিয়ে তুলে ইসলামের সেবা করার কথা বলে কর্মী আকৃষ্ট করেন এই উগ্রবাদী সংগঠনের আঞ্চলিক নেতারা। সম্প্রতি হিজরতের কথা বলে ঘরছাড়া তরুণদের কয়েকজনকে গ্রেফতারের পর তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এসব জানা গেছে।
গ্রেফতার হোসাইন সংগঠনের জন্য সদস্য সংগ্রহ ও তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে ছিলেন। এ ছাড়া তিনি সদস্যদের বিভিন্ন তাত্ত্বিক জ্ঞান ও প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে সদস্যদের সশস্ত্র হামলার বিষয়ে প্রস্তুত করে তুলতেন। তিনি ২০১৪-২০১৫ সালে সিরাজ নামে এক ব্যক্তির মাধ্যমে উগ্রবাদে অনুপ্রাণিত হন। এখন পর্যন্ত ১৫-২০ জন সদস্য সংগ্রহ ও তাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন হোসাইন।
টিটি/কেএসআর/জিকেএস