দুপুরের পরও সিটিস্ক্যানের সুযোগ চমেক হাসপাতালে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: ১০:৪৭ এএম, ০৩ অক্টোবর ২০২২
ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের জরুরি রোগীরা দুপুরের পরও সিটিস্ক্যান পরীক্ষার সুবিধা পাচ্ছেন। আগে এখানে সকাল থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সিটিস্ক্যান সুবিধা পাওয়া যেতো।

হাসপাতালের রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগে গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে দুই শিফটে সিটিস্ক্যান সেবা চালুর পর থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত জরুরি রোগীরা সিটিস্ক্যান করাতে পারছেন। তবে সাধারণ রোগীরা আগের মতোই দুপুর ২টা পর্যন্ত এ সুযোগ পাবেন।

প্রাইভেট ডায়াগনস্টিক সেন্টারের প্রায় অর্ধেক খরচেই চমেক হাসপাতালে সিটিস্ক্যান করানো হয় বলে দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।

জানা গেছে, চমেক হাসপাতালে পরীক্ষাভেদে সিটিস্ক্যানের ফি দুই হাজার থেকে চার হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। কিন্তু হাসপাতালটির দুই হাজার টাকা ফি প্রাইভেট ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চার হাজার টাকার কম নয়। আর এখানকার চার হাজার টাকা ফি বাইরে আট থেকে ১০ হাজার টাকা নেওয়া হয়।

চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান বলেন, সিটিস্ক্যান আসলে ব্যয়বহুল। খরচ বেশি হওয়ায় সবার পক্ষে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এ পরীক্ষা করানো সম্ভব হয় না।

‘গরীব-অসহায় রোগীদের বিষয়টি মাথায় রেখে হাসপাতালে যাতে সার্বক্ষণিক এ সেবা চালু রাখা যায়, সেই চেষ্টা করছি। এখন দুই শিফটে এ সেবা দেওয়া হচ্চে। আগামীতে তিন শিফটে ২৪ ঘণ্টা এ সেবা দেওয়ার চেষ্টা চলছে।’

তিনি আরও বলেন, হাসপাতালে জনবল সংকট রয়েছে। বিশেষ করে, মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের সংকট বেশি।

দুপুরের পরও সিটিস্ক্যানের সুযোগ চমেক হাসপাতালে

চমেক হাসপাতালের রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সুভাষ মজুমদার বলেন, মেডিকেল টেকনোলজিস্টরাই যন্ত্রগুলো চালান। হাসপাতালে পাঁচটি এক্স-রে ও একটি করে ম্যামোগ্রাফি, ওপিজি, এমআরআই ও সিটিস্ক্যান যন্ত্র রয়েছে।

এসব যন্ত্র পরিচালনায় সবমিলিয়ে ১০ জন টেকনোলজিস্ট রয়েছেন, যা খুবই অপ্রতুল। এত কম জনবল দিয়ে পাঁচ-ছয় ধরণের যন্ত্র এক শিফটে চালানো খুবেই কষ্টকর। এমতাবস্থায় অতিরিক্ত শিফটে সেবা চালু রাখতে গেলে অন্তত ৩০-৩৫ জন টেকনোলজিস্ট প্রয়োজন।

২০১৯ সালের মার্চে নতুন সিটিস্ক্যান যন্ত্রের সেবা চালু হয় চমেক হাসপাতালে। এর আগে রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের পুরনো সিটিস্ক্যান যন্ত্রটি ২০১৪ সালের আগস্টে অকেজো হয়ে পড়ে। সেই থেকে এখানে সিটিস্ক্যান সেবা বন্ধ থাকে।

২০১৮ সালের নভেম্বরে প্রায় সাত কোটি টাকা দামের জাপানি ব্র্যান্ড হিটাচির (১২৮ স্লাইস) অত্যাধুনিক একটি সিটিস্ক্যান যন্ত্র পায় চমেক হাসপাতাল। তখন থেকে পুনরায় চালু হয় সিটিস্ক্যান সুবিধা।

ইকবাল হোসেন/এসএএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।