সায়েদাবাদ পানি শোধনাগারে মাছ চাষের সুযোগ নেই
স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ঢাকা ওয়াসার সায়েদাবাদ পানি শোধনাগার প্ল্যান্টে ময়লার গর্ত বলতে কিছু নেই। এটি একটি পানি শোধনাগার, যেখানে শুধুমাত্র নদীর পানি শোধন করে রাজধানীতে সরবরাহ করা হয়। এখানে মাছ চাষের কোনো সুযোগ নেই।
জাতীয় সংসদে মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম-১১ আসনের এম আব্দুল লতিফ জানতে চান, ‘সায়েদাবাদে পানি শোধনাগারে মাছ চাষ বন্ধে সরকারের কার্যকর কোনো পদক্ষেপ আছে কি না? এমন প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, এছাড়া বাংলাদেশের ৩০০টি নির্বাচনী আসনে পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশনের জন্য একটি প্রকল্প প্রণয়ন করা হয়েছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকা জেলার দোহার-নবাবগঞ্জ উপজেলায় গভীর নলকূপ সরবরাহ করা হবে।
বেগম পিনু খানের (মহিলা আসন-২৩) সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের এলজিইডি’র বিভিন্ন পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের চলতি অর্থ বছরে ঢাকা জেলা দোহার-নবাবগঞ্জ উপজেলায় ২ দশমিক ৬৯ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়ন ২৩ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ এবং ১টি বাজার উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
এছাড়া নবাবগঞ্জ উপজেলায় ২৬ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়ন ২৯ দশমিক ১৩ কিলোমিটার সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ ১৩৫ দশমিক ১৫ মিটার ব্রিজ/কালভার্ট নির্মাণ এবং ১টি বাজার উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে বলেও মন্ত্রী জানান।
লক্ষীপুর-১ আসনের এম এ আউয়াল জানতে চান, ‘চলতি অর্থবছরে লক্ষ্মীপুর জেলায় পল্লী অবকাঠামোগত উন্নয়নে কোনো অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে কি না? উত্তর খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের এলজিইডি’র আওতায় চলতি অর্থবছরে লক্ষ্মীপুর জেলায় পল্লী উন্নয়নে মোট ৭৩ দশমিক ২৩ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে।
এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১১ দশমিক ০২ কোটি, রায়পুর উপজেলায় ১৫ দশমিক ৯৮ কোটি, রামগঞ্জ উপজেলায় ১২ দশমিক ৯৬ কোটি, রামগতি উপজেলার ২৩ দশমিক ৪৯ কোটি এবং কমল নগর উপজেলায় ৯ দশমিক ৭৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলে মন্ত্রী জানান।
এইচএস/একে/আরআইপি