ইউপি নির্বাচন : ভোটকেন্দ্র প্রস্তুত করে তালিকা পাঠানোর নির্দেশ


প্রকাশিত: ০৬:২১ পিএম, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে জন্য ভোটকেন্দ্র প্রস্তুত করে তালিকা চেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. জাভেদ আলী বলেন, আমরা ইউপি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত রয়েছি। নির্বাচন বিধিমালা ও আচরণবিধির সংশোধনী ভেটিং হয়ে আসলেই নির্বাচনে তফসিল ঘোষণা করা হবে। কমিশন চলতি সপ্তাহেই প্রথম দফায় চার শতাধিক ইউপির তফসিল ঘোষণা করতে পারে।

ইসি সূত্র জানায়, গত ২৫ জানুয়ারি ভোটকেন্দ্র প্রস্তুত করার জন্য নিদের্শ দেয় ইসি। আর ৭ ফেব্রুয়ারি এসব ভোটকেন্দ্রের তালিকা পাঠাতে মাঠ পর্যায়ে জরুরি এ নির্দেশনা দেয়া হয়। ইসির উপ-সচিব মু. আবদুল অদুদ এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠান।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চলতি সপ্তাহের মধ্যে ভোটকেন্দ্র প্রস্তুত করে তার তালিকা সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার মাধ্যমে পাঠাতে হবে। কমিশন থেকে পাঠানো নির্দিষ্ট ছকে এসব তথ্য পাঠাতে হবে বলেও সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে। এর আগে গত সপ্তাহে ভোটার তালিকার সিডি প্রস্তুত ও মুদ্রণ করে মাঠ পর্যায়ে পাঠাতে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগকে নির্দশনা দেয় কমিশন।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, তফসিল ঘোষণার আগে মনোনয়নপত্র ছাপানো, ভোটার তালিকার সিডি ও সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রস্তুতির কাজ চলছে। ইতোমধ্যে এনআইডি শাখা নির্বাচন হতে যাওয়া ইউপিগুলোর ছবিসহ ও ছবিছাড়া ভোটার তালিকার সিডি প্রস্তুত করে মাঠ পর্যায়ে সরবরাহ করা শুরু করেছে। এবারের নির্বাচনে নতুন প্রায় ৪৪ লাখ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।

ইসি সূত্র জানায়, সারাদেশে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের জন্য সম্ভাব্য রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নামের তালিকা চূড়ান্ত করে পাঠিয়েছে জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা। কঠোর গোপনীয়তার মধ্যে ইসির নিজস্ব সার্ভারের মাধ্যমে এসব নামের তালিকা পাঠানো হয়।

ইসি কর্মকর্তারা আরও জানান, মার্চের মধ্যেই প্রথম ধাপে ৭৭৪টি ইউপির ভোট সম্পন্ন করার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। তবে পুলিশের অনুরোধে এ তালিকা কমে চার শতাধিক হতে পারে। বাকিগুলো ১০ থেকে ১১টি ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এখন তফসিল ঘোষণার জন্য নির্বাচনের মালামালসহ সামগ্রিক প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।

জানা গেছে, এ নির্বাচনে কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তা ছাড়াও উপজেলা পর্যায়ের সরকারের বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তাদেরকে রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সম্ভাব্য তালিকা প্রস্তুতে ইসি থেকে যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, প্রতিটি উপজেলা অন্তত পাঁচজন রিটার্নিং কর্মকর্তা প্রয়োজন হবে। একজন কর্মকর্তা ১-৩টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন।

স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯-এর ২৯ (৩) ধারা অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তারিখ পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার আগের ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার বিধান রয়েছে। এ হিসেবে গত বছরের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের জুনের মধ্যে সবগুলো ইউপির নির্বাচন শেষ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

উল্লেখ্য, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে ইসিতে পাঠনো তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে দেশে চার হাজার ৫৭১টি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে।

এইচএস/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।

আরও পড়ুন