আমাদের চারপাশে দালাল শ্রেণি আছে: এনআইডি ডিজি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:০১ পিএম, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২
এনআইডি মহাপরিচালক এ কে এম হুমায়ুন কবীর, ফাইল ছবি

আমাদের চারপাশে দালাল শ্রেণি আছে- এমন মন্তব্য করে জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) মহাপরিচালক এ কে এম হুমায়ুন কবীর বলেছেন, আমরা আগামী ভোট (জাতীয় নির্বাচন) আরও সুন্দর করতে চাই। এ কারণে আমরা ফিঙ্গারপ্রিন্ট আপডেট করবো। যারা স্মার্টকার্ড নিয়েছেন, তারা দশ আঙুলের ছাপ দিয়েছেন। যারা দশ আঙুলের ছাপ দেননি, আগামী জানুয়ারি থেকে তাদের দশ আঙুলের ছাপ নেওয়ার চেষ্টা করছি।

তিনি বলেন, আমরা কমিশনের সঙ্গে এরই মধ্যে আলোচনা করেছি। চলমান হালনাগাদ শেষে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের (আগামী বছরের ২ মার্চ) পরপরই এই কার্যক্রমে যাবো।

শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত ঢাকার আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ের ত্রৈমাসিক সভায় একথা বলেন তিনি।

এ কে এম হুমায়ুন কবীর বলেন, যারা নতুন ভোটার, এসএসসি, পিএসসি, জেএসসি প্রয়োজনে জন্মনিবন্ধন দেখে নিচ্ছি, যাতে ভুল না হয়। একটি বিষয় সতর্ক থাকতে বলবো, যারা বয়স্ক ব্যক্তি তাদের যেন সচেতনভাবে যাচাই-বাছাই করে ভোটার করা হয়। ঢাকায় নানা ধরনের মানুষ বসবাস করেন। আফ্রিকা থেকে লাতিন আমেরিকারও লোকজন বসবাস করেন। কাজেই তারাও ভোটার হতে চাইতে পারেন। পরিপূর্ণ তথ্য না দিলে ভোটার করবেন না।

তিনি বলেন, বিভিন্ন বাহিনীর চাকরিজীবীরা রেশন তোলার জন্য তিন-চার বছর পর একজন স্ত্রীর নাম দিয়ে থাকেন। এখন সত্যিকার যখন বিয়ে হয়, তখন যার সঙ্গে বিয়ে হয় সেই নামের সঙ্গে ওই আগের নামের মিল থাকে না। পেনশনে জটিলতা সৃষ্টি হয়। তখন সংশোধনের জন্য আসেন।

তিনি বলেন, আমরা প্রবাসীদের জন্য সব সময় অগ্রাধিকার দিচ্ছি। তাদের জন্য একটা পৃথক ডেস্ক খুলেছি। তার অর্থ এই নয়, রোহিঙ্গাদের দ্বিতীয় জেনারেশন সৌদি আরব থেকে এসে ভোটার হয়ে যাবে।

কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, আমাদের চারপাশে দালাল শ্রেণি আছে। প্রতিনিয়ত আপনাকে আমাকে বিক্রি করছে। এদের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক গড়ে তুলবেন না। পত্রিকায় এসেছে যে দিনাজপুরে নির্বাচন কার্যালয়ে গিয়ে কান্না করতেছে যে, আমাকে একটু জীবিত করে দেন। আমি মরি নাই। তখন আমরা আপনাদের সফটওয়্যার দিয়ে দিলাম, সেখান থেকে এখন সেটা ঠিক করতে পারছেন। আমরা এবার ১৫ বছর বয়স পর্যন্ত তথ্য উপাত্ত নিচ্ছি। আগামী বছর বয়স হয়তো আরও পেছানে যাবে, এভাবে হয়তো ফাইভ পাস করলেই হয়তো এনআইডি কার্ড দেবো।

ঢাকার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে বৈঠকে ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

সভায় ঢাকার আঞ্চলিক পর্যায়ের এনআইডি সংশোধন, স্থানান্তর ইত্যাদি সংক্রান্ত আবেদনের তথ্য তুলে ধরা হয়। এ পর্যন্ত মোট আবেদন পড়েছে ৩৯ হাজার ৩৫৩টি। এর মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে ২০ হাজার ৯৪৫টি। অনিষ্পন্ন অবস্থায় রয়েছে ১৮ হাজার ৪০৮টি আবেদন। সবচেয়ে বেশি আবেদন অনিষ্পন্ন অবস্থায় রয়েছে ঢাকা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে, ৭ হাজার ৬৪৮টি।

এইচএস/এমএইচআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।