রেলের ভাড়া বৃদ্ধির পরিকল্পনা প্রত্যাহারের দাবি
রেলের ভাড়া বৃদ্ধির পরিকল্পনা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ-মার্কসবাদী) নেতারা। সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘রেলের ভাড়া বাড়ানো চলবে না’ শীর্ষক এক বিক্ষোভ সমাবেশে সংগঠনের পক্ষ থেকে এ দাবি করা হয়।
রেলের ভাড়া বৃদ্ধির পরিকল্পনা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, মন্ত্রী ও রেলের কর্মকর্তারা রেলের উন্নয়ন এবং রেলকে ঢেলে সাজানোর ঘোষণা দিয়ে ব্যাপক দুর্নীতি আর লুটপাত চালাচ্ছে। চাহিদা ও সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও এক সময়ের লাভজনক রেলখাতকে পরিকল্পিতভাবে সংকুচিত ও লোকসানী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, সরকার সম্প্রতি বিশ বছর মেয়াদী একটি রেলওয়ে মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করেছে যা বাস্তবায়নে বড় অংকের ঋণ দেবে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি)। ঋণের শর্ত হচ্ছে প্রতিবছর রেলের ভাড়া বৃদ্ধি ও বাণিজ্যমুখী করা। ২০১২ সালে রেলের লোকসান ছিলো ৮০০ কোটি টাকা। যাত্রীসেবা বৃদ্ধি ও লোকসান কমানোর কথা বলে তখন রেলের ভাড়া দ্বিগুন বাড়ানো হয়েছিলো। তারপরও এই খাতটিতে বর্তমানে লোকসানের পরিমাণ ৯০০ কোটি টাকা।
তারা বলেন, একটি মালবাহী ট্রেন ২১০টি পাঁচ টনি ট্রাকের সমান মাল ধারণ করতে পারে। অথচ স্বাধীনতার পর রেলখাতের অবকাঠামোগত উন্নয়নে পর্যাপ্ত বিনিয়োগ করা হয়নি। পরিবহন ব্যবসায়ীদের স্বার্থে সড়কপথকে বরাবরই অধিক গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
বক্তারা জানান, ২৩টি মন্ত্রণালয় ও সংস্থার কাছে রেলের বকেয়া পাওনা ১২ হাজার ৬১০ কোটি টাকা। এছাড়া রেলের ১২ হাজার ১০০ একর জমি অবৈধ দখলদারদের হাতে রয়েছে।
এই বকেয়া পাওনা ও দখলকৃত জমি উদ্ধার করে রেলের উন্নয়নে ব্যয় করার পাশাপাশি মন্ত্রী-আমলা-কর্মকর্তাদের দুর্নীতি রোধ করতে পারলে খাতটিতে লোকসান থাকবে না বলেও জানায় তারা।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাসদের কেন্দ্রীয় কার্যপরিচালনা কমিটির সদস্য ফখরুউদ্দিন কবিরসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এএস/এআরএস/আরআইপি