মালয়েশিয়ায় ১৫ লাখ শ্রমিক পাঠাবে সরকার


প্রকাশিত: ০৬:৪০ এএম, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

মালয়েশিয়ায় জি-টু-জি প্লাস প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশি কর্মী পাঠানোর লক্ষ্যে উভয় দেশের মধ্যে সমঝোতা স্বারকের খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রীসভা। এর ফলে এখন থেকে সরকারিভাবে মালয়েশিয়া যাবে বাংলদেশের শ্রমিকরা।

সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, এ প্রক্রিয়াতে মালয়েশিয়ায় প্রতি কর্মী পাঠাতে ৩৪ থেকে ৩৭ হাজার টাকা পর্যন্ত অভিবাসন খরচ হবে। এছাড়া আগামী ৩ বছরের মধ্যে প্রায় ১৫ লাখ শ্রমিক মালয়েশিয়াতে যেতে পারবে বলেও জানান মন্ত্রীপরিষদ সচিব। তবে নতুন জি-টু-জি প্লাস প্রক্রিয়া চালু হলে ২০১২-১৪ সালের শ্রমিক পাঠানোর প্রক্রিয়া বাতিল হয়ে যাবে।

শফিউল আলম বলেন, নতুন প্রক্রিয়ায় অনলাইনে কর্মীদের বিভিন্ন তথ্য সরবরাহ করা হবে। এই তথ্যগুলো বায়রার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট নিয়োগ কর্তারা সংগ্রহ করবেন এবং এর ব্যয়ভার মূলত নিয়োগ কর্তারা বহন করবে।

এখন থেকে এ চুক্তির আওতায় নিয়োগকর্তারা শ্রমিকদের বেতন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পরিশোধ করবেন বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ সরকার অনলাইন সিস্টেমের মাধ্যমে রিক্রুটিংয়ের তথ্য মালয়েশিয়ায় পাঠাবে। এই প্রক্রিয়ায় শ্রমিকরা নিরাপত্তা যাচাই, কাজের ধরনসহ সবকিছু অনলাইনের মাধ্যমে তথ্য নিতে পারবে। এর আগে পাঠানো শ্রমিকেরা শুধু প্লান্টেশনে (রাবার বাগান) কাজ করতো।

এবার সেবা, ম্যানুফ্যাকচারিং এবং নির্মাণ কাজে শ্রমিক পাঠানো হবে শফিউল আলম বলেন, দুই দেশের আলোচনার ভিত্তিতে এ চুক্তি আগামী এক মাসের মধ্যে সম্পন্ন হবে। এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের পরেই লোকবল পাঠানো শুরু হবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কর্মী নিয়োগে মধ্যসত্ত্বভোগীদের অংশীদারিত্ব থাকবে না। সেই সঙ্গে কর্মীরা পাবে চাকরির নিরাপত্তা।

এছাড়াও বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন আইন-২০১৬- এর খসড়া নীতিগত অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হলেও তা ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

এসএ/একে/জেএইচ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।