উন্নত দেশ না হওয়া পর্যন্ত প্রচুর বিদেশি ঋণ নিতে হবে: প্রতিমন্ত্রী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:৪৯ পিএম, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
ফাইল ছবি

উন্নত দেশ না হওয়া পর্যন্ত প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক ঋণ নেওয়া দরকার বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।

রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সম্মেলন কক্ষে এক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বৈদেশিক ঋণের সুফল তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আজকে বিদেশি ঋণের ব্যবস্থাপনা নিয়ে কথা উঠেছে। আমরা ঋণ নেবো কেন? আজকে যে বঙ্গবন্ধু সেতু সেটা কিন্তু বিদেশি ঋণে হয়েছে। আমি যে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছি এটাও ইউএসআইডি’র সহায়তায় স্থাপিত হয়েছিল। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কৃষির উন্নয়নে কাজ করছে। এটা সম্ভব হয়েছিল বৈদেশিক ঋণ সহায়তায়।

তিনি আরও বলেন, বিআইসিসি, মেট্রোরেল, ন্যাশনাল হাইওয়ে হচ্ছে বৈদেশিক ঋণে। বিদেশি সহায়তা আমাদের উন্নয়নে বড় ভূমিকা পালন করছে। ঋণ নেওয়ার প্রয়োজন আছে আমি এটাকে পুরোপুরি সমর্থন করি। আমাদের প্রচুর ঋণ নেওয়া দরকার যতক্ষণ উন্নত দেশ না হতে পারবো।

বৈদেশিক ঋণ নেওয়ার যুক্তি তুলে ধরে ড. শামসুল আলম বলেন, বৈদেশিক ঋণে সুদ কম, পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদে পরিশোধ করতে হয়। বৈদেশিক ঋণে সুদ ০ দশমিক ৭৫ থেকে দেড় শতাংশ। এই ঋণ পরিশোধ করার সময়টাও অনেক বড়। অনেক ঋণ আবার ৩১ বছরে পরিশোধ করতে হয়। আর দেশীয় ঋণ যদি ব্যাংক থেকে নেওয়া হয় তাহলে সাড়ে ৭ শতাংশ পর্যন্ত সুদ দেওয়া লাগে। বিদেশে যখন কম সুদ পাবো তাহলে সেটা নেওয়া উচিত।

samsul-1

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আজকে ৪৮ বিলিয়ন ডলার পাইপ লাইনে আছে। এরমধ্যে ১০ বিলিয়ন ডলার ২০২২ সালে পেয়েছি। সস্তায় দীর্ঘমেয়াদী যেহেতু ঋণ পাওয়া যাচ্ছে সুতরাং নিতে হবে। এর একটা কারণ স্বল্পসুদ ও দীর্ঘমেয়াদি। ঋণের মাধ্যমে আমরা প্রযুক্তি সহায়তাও পেয়ে থাকি।

ঋণের সঠিক ব্যবস্থাপনা প্রসঙ্গে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদেশি ঋণের মাধ্যমে অনেক সমালোচনা হয়। শ্রীলঙ্কা কিন্তু দক্ষিণ এশিয়ার সব থেকে উন্নত দেশ ছিল, মাথাপিছু আয় ও শিক্ষার হার ভালো ছিল। বেশ কিছু ভুলের জন্য তাদের এই অবস্থা। দক্ষিণ কোরিয়াও ঋণ নিয়ে অনেক এগিয়ে গেছে। তবে কিছু দেশ প্রচুর বৈদেশিক ঋণ নিয়েও কিছু করতে পারেনি যেমন- পাকিস্তান। তার অন্যতম কারণ ঋণ ব্যবস্থাপনার অভাব। কতগুলো ভুল করে তারা সমস্যায় পড়েছে, তাই আমাদের বৈদেশিক ঋণের বিষয়ে সাবধান হতে হবে।

‘সুশাসন নিশ্চিতকরণে বৈদেশিক ঋণ ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, ইআরডি সচিব শরিফা খান প্রমুখ।

এমওএস/জেডএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।