শ্বাসনালি পুড়ে গেছে আবু হেনা রনির, অবস্থা আশঙ্কাজনক
গাজীপুরে গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণে গুরুতর আহত কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনি ও কনস্টেবল মো. জিল্লুর রহমানকে ভর্তি করা হয়েছে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ)। তাদের দুজনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে তাদের দগ্ধ অবস্থায় বার্ন ইনস্টিটিউটে আনা হয়।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইউব হোসেন জানান, গাজীপুর থেকে গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে ২ জন এসেছেন। এরমধ্যে আবু হেনা রনির (৩২) শরীরের ২৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তার শ্বাসনালি দগ্ধ হয়েছে। অন্যদিকে কনস্টেবল মো. জিল্লুর রহমানের (৩১) শরীরের ১৯ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
তিনি বলেন, তাদের দুজনকেই হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) ভর্তি করা হয়েছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জেলা পুলিশ লাইনস মাঠে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠান ও নাগরিক সম্মেলনে আবু হেনা রনিসহ ৫ জন দগ্ধ হন। দগ্ধ অন্যরা হলেন, মোশাররফ হোসেন, জিল্লুর রহমান, ইমরান হোসেন ও রুবেল হোসেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, অনুষ্ঠান শুরুর আগে প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিদের উদ্বোধনী মঞ্চে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রধান অতিথির হাতে বেশ কিছু বেলুন দেওয়া হয় উড়িয়ে দেওয়ার জন্য। কিন্তু বারবার চেষ্টা করলেও বেলুনগুলো উড়ছিল না। পরে কয়েকজন পুলিশ সদস্য সে বেলুন মঞ্চের পেছনে নিয়ে যান। শুধু পায়রা উড়িয়ে স্বরাষ্ট্রামন্ত্রীসহ অন্য অতিথিরা অনুষ্ঠানের মূল মঞ্চে চলে যান।
অতিথিরা মূল মঞ্চে চলে যাওয়ার কিছু সময় পর কয়েকজন পুলিশ সদস্য বেলুন বিক্রেতাকে বকাঝকা করেন। এতে বেলুন বিক্রেতা নিজেই বেলুনে আগুন লাগিয়ে ওড়ানোর চেষ্টার করেন। এ সময় বিস্ফোরণ ঘটে। এতে পাশে বসে থাকা কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনিসহ ৫ জন দগ্ধ হন।
এদিকে ওই ঘটনা তদন্তে জিএমপির ডিসি (অপরাধ-উত্তর) আবু তোরাব মোহাম্মদ শামসুর রহমানকে প্রধান করে গঠন করা হয়েছে চার সদস্য বিশিষ্ট কমিটি।
কমিটিতে জিএমপির এডিসি (উত্তর) রেজনোয়ান আহমেদ, এসি (প্রসিকিউশন) ফাহিম আশজাদ ও মেট্রো সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামকে সদস্য করা হয়েছে।
কাজী আল আমীন/এমএইচআর/এএসএম