আধুনিক পর্যটন নগরী হচ্ছে কক্সবাজার
পরিকল্পিত নগরায়ণের মাধ্যমে কক্সবাজারকে আধুনিক পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে জাতীয় সংসদে উত্থাপিত কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিল-২০১৬ এর প্রতিবেদন চূড়ান্ত করা হয়েছে।
জাতীয় সংসদ ভবনে রোববার অনুষ্ঠিত গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এটি চূড়ান্ত করা হয়।
কমিটির সভাপতি আলহাজ মো. দবিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য সাধন চন্দ্র মজুমদার, এ কে এম ফজলুল হক ও মো. আবু জাহির অংশ নেন। এসময় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত বছরের শেষ অধিবেশনে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বিলটি সংসদে উত্থাপনের পর তা পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। বিলে বলা হয়েছে, আইনটি কার্যকর হওয়ার পর কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ নামে একটি কর্তৃপক্ষ গঠন করা হবে। এই কর্তৃপক্ষের সদস্য হবেন ১৫ জন। এদের চারজন হবেন পূর্ণকালীন আর ১১ জন খণ্ডকালীন। একজন চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে পূর্ণকালীন সদস্যদের মধ্যে একজন প্রশাসন ও অর্থ, একজন প্রকৌশল এবং একজন পরিকল্পনা বিভাগ দেখবেন। এছাড়া ভূমি মন্ত্রণালয়, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়, বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, স্থাপত্য অধিদফতর, গণপূর্ত অধিদফতর, কক্সবাজার শিল্প ও বণিক সমিতির প্রতিনিধি থাকবেন সদস্য।
সদস্য হিসেবে আরও থাকবেন চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার ও কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র। এছাড়া তিনজন বিশিষ্ট নাগরিকও কর্তৃপক্ষের পার্টটাইম সদস্য হিসেবে থাকবেন। যার মধ্যে একজন হবেন নারী। একটি পরিকল্পিত পর্যটন নগরী গড়ে তোলার জন্য এই কর্তৃপক্ষ দেখেশুনে অনুমতি দেবে, অনুমতি দেয়ার পর তারা অনুমতি বাতিলও করতে পারবে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত পর্যটন নগরী কক্সবাজার এরই মধ্যে আন্তর্জাতিকভাবে বহুল পরিচিতি লাভ করেছে। একটি আধুনিক ও উন্নতমানের পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে কক্সবাজারের আবাসন, হোটেল, মোটেল, রাস্তাসহ অন্যান্য সব নাগরিক ও পর্যটন সুবিধা পরিকল্পিতভাবে বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। এছাড়া কক্সবাজারের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সংরক্ষণ ও কক্সবাজারকে পরিকল্পিত শহর হিসেবে গড়ে তুলতে একটি মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ এবং নাগরিক সুযোগ-সুবিধা প্রদানের উদ্দেশ্যে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠন করা প্রয়োজন।
এইচএস/একে/আরআইপি