জিপি অ্যাকসেলেরেটরের প্রথম ব্যাচকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ
চার মাসব্যাপি বিজনেস বুট ক্যাম্প ‘জিপি অ্যাকসেলেরেটর’ কর্তৃক প্রশিক্ষণ দেয়ার জন্য প্রথম ব্যাচের স্টার্টআপদের আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করেছে গ্রামীণফোন। রোববার রাজধানীর বসুন্ধরায় অবস্থিত জিপি হাউজে গ্রামীণফোনের সিইও রাজিব শেঠি, চিফ স্ট্র্যাটেজি অফিসার এরলেন্ড প্রেস্টগার্ড এবং এসডি-এশিয়ার সহপ্রতিষ্ঠাতা সামাদ মিরালী শতাধিক গ্রামীণফোন কর্মকর্তার উপস্থিতিতে স্টার্টআপসদের সাদরে গ্রহণ করে দেশের সর্ববৃহৎ মোবাইল অপারেটর প্রতিষ্ঠানটি।
৫টি স্টার্টআপসের সমন্বয়ে গঠিত প্রথম ব্যাচের প্রশিক্ষিত উদ্যোক্তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ১০ লাখ টাকা, জিপি হাইজে কার্যালয়, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, বড় ব্যবসায়িক ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে সহায়তা প্রদান করবে গ্রামীণফোন।
প্রশিক্ষণ শেষে স্টার্টআপসরা নিজেদের পণ্য ও সেবা আগামী মে মাসে অনুষ্ঠিতব্য ‘ডেমো ডে’-তে প্রদর্শনের সুযোগ পাবেন।
অনুষষ্ঠানে গ্রামীণফোনের সিইও রাজীব শেঠি বলেন, তিনি স্টার্টআপসদের পেয়ে অনেক উচ্ছ্বসিত। কারণ এটি কোম্পানি এবং দেশের র্স্টাটআপ ইকোসিস্টেমের জন্য এক নতুন সূচনা।
গত বছরের অক্টোবর মাসে গ্রামীণফোন এসডি এশিয়ার সহযোগিতায় বাংলাদেশের পাঁচটি প্রতিভাবান র্স্টাটআপ খুঁজে বের করার জন্য জিপি অ্যাকসেলারেটর চালু করে। একটি কঠোর বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শত শত আবেদনের মধ্য থেকে পাঁচটি র্স্টার্টআপকে বাছাই করা হয়।
গ্রামীণফোনের চিফ স্ট্র্যাটেজিক অফিসার এরলেন্ড প্রেস্টগার্ড বলেন, ‘আমি মনে করি, সেরা ৫ স্টার্টআপ নির্বাচন করার মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের কর্মসূচির শুভসূচনা করেছি। শুরুতে এ ধরনের কর্মসূচিতে অংশ নেয়ার ব্যাপারে গ্রামীণফোনের মতো প্রতিষ্ঠানেরও সংশয় ছিলো। তবে এখন আর এই সংশয় নেই। আমরা এখন আর সর্ববৃহৎ অপারেটর হিসেবে পরিচিত না হয়ে তথ্য-প্রযুক্তির হাত ধরে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে মিলে কাজ করে যাবো। আর এসডি-এশিয়ার সঙ্গে মিলে ‘জিপি এক্সিলেরেটর’ কর্মসূচি একটি যথার্থ পদক্ষেপ। আমরা আমাদেরকে ভবিষ্যৎ স্টার্টআপসদের সহায়তায় ইকো-সিস্টেমের অংশ হিসেবে দেখতে পাচ্ছি।
চলতি মাস থেকে শুরু হতে যাওয়া ‘জিপি এক্সিলেরেটর’ প্রোগ্রামে-এ নির্বাচিত সেরা ৫ স্টার্টআপসগুলো হচ্ছে :
ইনোভিশন : এটি একটি ওয়েব ডিজাইন ভিত্তিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান। ওয়েব ডিজাইন করে ওয়ান-স্টপ সল্যুশনের মাধ্যমে যে কোনো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে অনলাইনে কার্যকর রাখা ইনোভিশনের উল্লেখযোগ্য একটি সেবা। বাংলাদেশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর গতানুগতিক ওয়েব ডিজাইনের পরিবর্তে ব্যবহারবান্ধব ও দৃষ্টিনন্দন ওয়েব ডিজাইন করে বেশি কার্যকর করাই ইনোভিশনের মূল লক্ষ্য। এতে করে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো অনেক বেশি আকর্ষণীয়ভাবে তাদের পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করতে পারে।
ক্যান্ডি : মোবাইল অ্যাডভারটাইজিং অ্যাপ্লিকেশন নিয়ে কাজ করে ক্যান্ডি। মোবাইলে ইউজার লক স্ক্রিণ, টাইম সেভিং টুলসসহ লক স্ক্রিণকে কিভাবে আরো ব্যবহার উপযোগী করা যায় সে বিষয়গুলো ইন্টেলিজেন্ট পার্সোনালাইজেশন অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে করে থাকে ক্যান্ডি।
শেয়ার : কারপুলিং অ্যাপ্লিকেশন নিয়ে ‘জিপি এক্সিলেরেটর’-এ নির্বাচিত হয়েছে শেয়ার ইনকর্পোরেশন। ঢাকা শহরে গাড়িতে চলাফেরা করা নিত্য-নৈমিত্তিক একটি ঘটনা। সিএনজিতে চলতে আমরা মিটার অনুযায়ী ভাড়া প্রদান করে থাকি। কারপুলিং এমনই একটি অ্যাপ্লিকেশন। মিটার নষ্ট থাকলেও এই অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে যাত্রীর ভাড়া নির্ধারণ করা যায়।
সেবা : বাসার দৈনন্দিন কাজের সহায়তার জন্য সেবামূলক প্ল্যাটফর্ম নিয়ে সেবা ‘জিপি এক্সিলেরেটর’-এ নির্বাচিত হয়েছে। প্রশিক্ষিত জনবল দিয়ে বাসার কাজগুলো সুষ্টুভাবে সম্পাদন করাই সেবার কাজ।
রেপ্টো : অনলাইনে বিভিন্ন কোর্স পরিচালনা করার টুলস নিয়ে কাজ করে রেপ্টো। রেপ্টোর ওয়েবসাইটে অসংখ্য কোর্স রয়েছে। যে কেউ টাকার বিনিময়ে কিংবা বিনামূল্যে রেপ্টোর প্ল্যাটফর্ম থেকে কোর্সগুলো করতে পারবেন।
আরএম/এসএইচএস/আরআইপি