মেট্রোরেলে ঢাবি এলাকায় শব্দদূষণ হবে না
মেট্রোরেল নির্মাণের ফলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় শব্দদূষণ ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে এমন প্রচারণা অমূলক বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি। তিনি বলেন, মেট্রোরেলের শব্দনিয়ন্ত্রণে রেলট্র্যাকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। এতে শব্দদূষণের মাত্রা কমে আসবে।
মন্ত্রী রোববার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনিস্টিটিউশন মিলনায়তনে আইবি’র ৫৬তম কনভেশনে শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, জাইকা’র অর্থায়নে ঢাকা মহানগরী ও পার্শ্ববর্তী জেলাসমূহের জন্য প্রণীত কৌশলগত পরিকল্পনা বা এসটিপি সংশোধনের কাজ চলছে। ইতোমধ্যে এর খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। মার্চ মাসে সংশোধিত এসটিপি অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হবে। এসটিপি অনুমোদিত হলে গাবতলী থেকে ভাটারা এবং এয়ারপোর্ট থেকে কমলাপুর স্টেশন পর্যন্ত আরো দুটি মেট্রোরেল রুট নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শুরু হবে।
২০১৯ সালের মধ্যে দেশের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় জনগণ বৈপ্লবিক পরিবর্তন দেখতে পাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, ২০১৮ এর মধ্যে পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হবে। উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেলের কাজ শেষ হবে ২০১৯ সালে। চলতি বছরের মে মাসে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চারলেনে উন্নীতকরণ কাজ সম্পন্ন হবে।
মন্ত্রী অবকাঠামো নির্মাণে প্রকৌশলীদের সরকারি অর্থ সাশ্রয় এবং অপচয়রোধের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার মধ্যদিয়ে উন্নয়নকাজ এগিয়ে নিতে হবে। কেউই জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে নয়; জনগণ সবকিছুই দেখছেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর আইনুন নিশাত। আরো বক্তব্য রাখেন প্রকৌশলী কবির আহমদ, প্রকৌশলী আব্দুস সবুর প্রমুখ।
এসএ/এসএইচএস/এবিএস