আপিল বিভাগে নতুন তিন বিচারপতি নিয়োগ


প্রকাশিত: ০৮:৩৩ এএম, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে নতুন তিন বিচারপতি নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত বিচারপতিরা হলেন- বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার, বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম এবং বিচারপতি বজলুর রহমান। সংবিধানের ৯৫(১) ধারা অনুযায়ী সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের নতুন বিচারপতি হিসেবে তাদের নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।

রাষ্ট্রপতি এই তিন বিচারপতির নিয়োগ দেওয়ার পর রোববার প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়।

আগামীকাল সোমবার সকালে সুপ্রিমেকোর্টের জাজেজ লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহা নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত তিন বিচারপতিকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।

নতুন তিন বিচারপতি নিয়ে আপিল বিভাগে মোট বিচারপতির সংখ্যা দাঁড়ালো আটজনে, যাদের মধ্যে একজন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। বাকিরা হলেন- বিচারপতি মো. আবদুল ওহাব মিঞা, বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি মো. ইমান আলী ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে নতুন বিচারপতি নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া হিসেবে কয়েকদিন আগে আইন মন্ত্রণালয় থেকে রাষ্ট্রপতি বরাবরে সারসংক্ষেপ পাঠানো হয়েছিল। তবে বিচারপতির সংখ্যা কতজন বাড়াতে হবে সারসংক্ষেপে সে বিষয়ে কিছু বলা ছিল না।

নতুন তিন বিচারপতির নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে বেঞ্চের সংখ্যা বাড়তে পারে।

প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর সুরেন্দ্র কুমার সিনহা মামলা জট নিরসনে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন। অফিসের সময় পরিবর্তন, বেঞ্চ পুনর্গঠন, ডিজিটাল কার্যতালিকা প্রণয়নসহ নানা উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি।

আপিল বিভাগে মামলাজট কমানোসহ বিশেষ বিশেষ মামলা শুনানির কথা বিবেচনায় নিয়ে এরআগে বিচারপতির সংখ্যা ১১ জনে উন্নীত করা হয়েছিল। তখন তারা তিনটি বেঞ্চে (কোর্টে) বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। কিন্তু ওই ১১ বিচারপতির মধ্যে পাঁচজন অবসরে চলে গেলে প্রধান বিচারপতিসহ ছয়জন থেকে যান আপিল বিভাগে। তারা দুটি বেঞ্চে বিচারকার্য পরিচালনা করছেন।

গতবছর অক্টোবরের শুরুতে বিচারপতি এইএইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরীর অবসরের মধ্য দিয়ে আপিল বিভাগে শূন্য পদের সংখ্যা দাঁড়ায় পাঁচে।

বর্তমানে আপিল বিভাগে মামলা রয়েছে ১৫ হাজারের বেশি। সুপ্রিম কোর্টের ২০১১ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০০৯ সালে আপিল বিভাগে বিচারপতি ছিলেন ১১ জন এবং বিচারাধীন মামলা ছিল পাঁচ হাজার ৬০টি। ওই বছর নতুন করে মামলা করা হয় চার হাজার ৪০৩টি এবং মীমাংসা করা হয় ছয় হাজার ৩৫টি মামলা। ২০১০ সালে আপিল বিভাগে বিচারপতি ছিলেন আটজন, মামলা ছিল ৯ হাজার ১৪১টি। ওই বছর নতুন করে মামলা দায়ের হয় পাঁচ হাজার ৪৬৪টি, নিষ্পত্তি হয় এক হাজার ৫৮৩টি। ২০১১ সালে বিচারপতি ছিলেন ১০ জন এবং মামলা ছিল ১২ হাজার ৪৪১টি। ওই বছর মামলা করা হয় চার হাজার ৭৪৯টি, মীমাংসা হয় এক হাজার ৪৪৯টি।

এনএফ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।