বইমেলায় ইব্রাহিম নোমানের ‘ভূতের স্কুলে সেলফি’
ভূত এবং প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটিয়েছেন ইব্রাহিম নোমান। ইউনিভার্সিটিতে লেকচারার হিসেবে সম্পৃক্ত থাকলেও লেখালেখির নেশা থেকেই সাংবাদিকতায় আসেন তিনি। ২০০৯ থেকে দৈনিক জনকন্ঠের ‘ঝিলিমিলি’ এবং ‘প্রকৃতি ও বিজ্ঞান’ দুটি পাতা সম্পাদনার দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক, মাসিক ও অনলাইনে অবিরাম লেখালেখি। ইব্রাহিম নোমানের ‘ভূতের স্কুলে সেলফি’ বইটিতে রয়েছে চমৎকার তিনটি ভূতের গল্প। সোহেল আশরাফের অলঙ্করণ ও প্রচ্ছদে বইটি প্রকাশ করেছে কালান্তর প্রকাশনী। যেমন- ভূতদের আবার স্কুল থাকে? জয় আরও অবাক হলো কারণ ছেলেটার চেহারাও ঠিকভাবে বোঝা যাচ্ছে না। তবে কথা বলে ঠিক মানুষের মতো, কিন্তু ও বলছে ভূত। জয়ের ভয়ও লাগছে আবার আমতোর সাথে খেলতেও ইচ্ছে হচ্ছে। জয় আর আমতো ভূত হেঁটে হেঁটে পৌঁছে গেল ভূতের স্কুলে। দুটো তেঁতুল গাছের মাথায় নাম লেখা ‘ভূতেশ্বরী কিন্ডারগার্টেন।’
আমতো বলল, ‘আমার ঘাড় মটকাতে ভালো লাগে না। তাইতো স্কুল পালাই। চলো তুমি আর আমি আমাদের ভূতের স্কুলের সামনে একটা সেলফি তুলি’। এই বলে আমতো ওর পকেট থেকে একটা সুন্দর ফোন বের করল। আমতোর ফোনটা অনেক বড়। আমার হাতের সমান লম্বা। তবে আমতোর জন্য ঠিকই আছে। কারণ এখানের ভূতরা সবাই অনেক লম্বা। তারপর আমি আর আমতো তিন-চারটা সেলফি তুললাম। এমনই নান্দনিকভাবে এগিয়ে গেছে ‘ভূতের স্কুলে সেলফি’ গল্পটি। একদিন লাল্টু ভূতের তিন ছেলে খেলতে খেলতে পাঠশালার সামনে চলে যায়, মাস্টার মশাই তখন ছেলে মেয়েদের বলছিলেন, লেখাপড়া করে যে, গাড়িঘোড়ায় চড়ে সে। এ কথাটি পিংকুর খুব মনে ধরল। সেখান থেকে ফিরে সে বারবার কথাটি মনে করতে লাগল। পিংকু তার বাবা লাল্টু ভূতকে বলল, বাবা আমি লেখাপড়া শিখব। আমাকে স্কুলে ভর্তি করে দাও, এ কথা শুনে লাল্টু যেন আকাশ থেকে পড়ল, ছেলেটা বলে কী! এভাবেই এগিয়ে চলে ‘পিংকু ভূতের পড়ালেখা’ গল্পটি।
রিয়ানা বলল, ‘কে? কে এমন করে কথা বলছে?’
তখন সেই কণ্ঠস্বরটা বলল, ‘আমি আয়না। মামদো ভূতের একমাত্র মেয়ে। এ কথা শুনে রিয়ানা হঠাৎ রেগে গিয়ে বলল, ‘দেখ আয়না, তুমি আমাকে মিথ্যে কথা বলবে না। আয়না কারও নাম হয় নাকি? আরে আয়না তো চেহারা দেখার কাজে লাগে। আর তাছাড়া তুমি আমার সামনে আসছ না কেন? অদৃশ্য কারও সঙ্গে আমার কথা বলতে ভাল লাগে না।’ আয়না রিয়ানার এই কথা শুনে বলল, ‘আমি তো তোমার সামনেই আছি। আমি ভূত তাই তুমি আমাকে দেখতে পাচ্ছো না। আর ওই যে আমার নামের কথা বললে, আমাদের ভূত রাজ্যে আয়না নামের খুব সুন্দর একটা অর্থ আছে। আয়না অর্থ সুন্দরী। আমি আমাদের ভূত মেয়েদের মধ্যে সবচেয়ে সুন্দরী কিনা, তাই। আর তোমাদের দেশে আয়না অর্থ যাই হোক, তা দিয়ে আমাদের ভূতদের কী যায় আসে? আচ্ছা, এখন আমার নামের কথা বাদ দিয়ে তোমার নাম কি সেটাই বলো।’
রিয়ানা বলল, ‘আমার নাম রিয়ানা’। শুনেই আয়না হেসে উঠে বলল, ‘হিঁ হিঁ হিঁ , রিয়ানা কারো নাম হয় নাকি? কী পচা একটা নাম। তোমার মা-বাবা তোমার নাম রিয়া রাখতে গিঁয়ে ভুলে রিয়ানা রেখেছে। ভূত রাজ্যে রিয়ানা মানে কান্না।’ এমন চমৎকার কথোপকথনে এগিয়ে চলে ‘রিয়ানার ভূত বন্ধ’ গল্পটি।
একুশে গ্রন্থমেলায় বইটি পাওয়া যাবে ৪০৪ নম্বর স্টলে। বন্ধুরা আজই তোমার বইটি সংগ্রহ করো।
এইচএন/এমএস