দলীয়ভাবে বিচারক নিয়োগ হচ্ছে : ড. কামাল


প্রকাশিত: ১১:২৪ এএম, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

দেশের সর্বোচ্চ বিচার বিভাগীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে দলীয়ভাবে  বিচারক নিয়োগ দেয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন সংবিধান প্রণেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল  হোসেন।শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বেসরকারি মানবাধিকার সংস্থা সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) আয়োজিত ‘বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও কার্যকারিতা নিশ্চিতের লক্ষ্যে করণীয়’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে এ মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, একটি দেশের বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করতে না পারলে সে দেশের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায় না। কোনো রাজনৈতিক দল নির্বাচনে তিনশ’ আসন পেলেও অযোগ্য কোনো লোককে বিচার বিভাগে নিয়োগ দিতে পারে না।
তিনি আরো বলেন, আজ সংবিধানের অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বাংলাদেশে কোনো দিন রাজতন্ত্র কায়েম হতে পারে না। এ দেশের সংবিধানের জন্য অনেক মূল্য দিতে হয়েছে।

এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেন, ‘যে মুহূর্তে আমরা বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে কথা বলছি সেই মুহূর্তে এ দেশে স্বাধীনভাবে কথা বলার অধিকার টুকু নেই। একজন বিচারপতি অবসর নেওয়ার পর প্রধান বিচারপতি সম্পর্কে কথা বলছেন তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা হচ্ছে না।’

সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থার সাথে বিচার ব্যবস্থা ওতপ্রোতভাবে জড়িত।’

বিচারব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন দরকার উল্লেখ করে কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, ‘যে বিচার ব্যবস্থা আমাদের দেশে প্রচলিত আছে সেখানে শুধু ক্ষমতাসীনরা সুবিধা পেয়ে থাকে, আর দুর্বলরা অবহেলিত হয়ে থাকে।’

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি হাফিজ উদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে ও সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের সঞ্চালনায় গোলটেবিল বৈঠকে আরো বক্তব্য রাখেন, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আবদুল মতিন, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদ, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার প্রমুখ।

গোলটেবিল বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও সুজনের নির্বাহী সদস্য ড. শাহদীন মালিক।

এসএইচএস/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।