৮ মাসে নগর পরিবহনে যাতায়াত করেছেন ২৪ লাখ যাত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৪৫ পিএম, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২
বক্তৃতা করেন মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস

২০২১ সালের ২৬ ডিসেম্বর পরীক্ষামূলকভাবে চালু হওয়ার পর এ পর্যন্ত ঢাকা নগর পরিবহনের মাধ্যমে ২৪ লাখ যাত্রী যাতায়াত করেছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।

মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ডিএসসিসির প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির ২৪তম সভা শেষে সাংবাদিকদেরকে সঙ্গে আলাপকালে মেয়র ও বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির সভাপতি শেখ ফজলে নূর তাপস এ তথ্য জানান।

এ সভায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলামসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

মেয়র শেখ তাপস বলেন, গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর দীর্ঘদিনের জটিলতা নিরসন করে ঢাকা নগর পরিবহনের প্রথম ২১ নম্বর যাত্রাপথ আমরা শুরু করি। চলতি বছরের অগাস্ট পর্যন্ত এ যাত্রাপথে ২৪ লাখের বেশি যাত্রী সেবা দিতে সক্ষম হয়েছি। এতে ঢাকা নগর পরিবহনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিআরটিসি ও বিভিন্ন মালিকরা প্রায় তিন কোটি ৬০ লাখ টাকা আয় করতে পেরেছেন। এর মাধ্যমে এটি প্রমাণিত যে, আমরা সঠিক পথে এগোচ্ছি। যদিও এখনো অনেক প্রতিকূলতা, প্রতিবন্ধকতা ও সমস্যা রয়েছে। আমরা ধাপে ধাপে সেগুলো সমাধান করে এগিয়ে চলছি।

আগামী ১৩ অক্টোবর নতুন দুটি যাত্রাপথে ঢাকা নগর পরিবহন চালু করা হচ্ছে জানান মেয়র শেখ তাপস। তিনি বলেন, ‘বাস রুট রেশনালাইজেশনের আওতায় নতুন বাস দিয়ে ২২ ও ২৬ নম্বর নতুন যাত্রাপথে আগামী ১৩ অক্টোবর চালু হবে। একই সময় ২৩ নম্বরে আরও একটি যাত্রাপথ চালু হওয়ার কথা ছিল। তবে সেই যাত্রাপথে আরও কাজ বাকি থাকায় সেটি প্রস্তুত করার জন্য ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে।

ডিএসসিসি মেয়র বলেন, আমাদের নতুন এ যাত্রাপথ সব নতুন বাস দিয়ে সেবা চালু হবে। এছাড়া আমাদের পুরোনো ২১ নম্বর রুটে নতুন নতুন বাস আমরা সংযুক্ত করবো। এছাড়া বাসের শৃঙ্খলা ফেরাতে আগামী ২৫-২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চিরুনি অভিযান চলবে।

ঘোষিত ৩ যাত্রাপথে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়ন সম্পন্ন হয়েছে জানিয়ে তাপস বলেন, এরই মধ্যে তিনটি যাত্রাপথের প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়ন প্রায় সম্পন্ন করেছি। দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতায় তিনটি যাত্রী ছাউনি নির্মাণ সম্পন্ন হয়নি। এমআরটির কারণে শাহবাগ মোড়ের কাছে দুটি সম্পন্ন করা যায়নি। আরেকটি সচিবালয়ের কাছে, যেটি দ্রুতই হয়ে যাবে। বাকি দুটি এমআরটি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করছি। এটা খুব অল্প সময় লাগবে।’

এমএমএ/এএএইচ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।