আবুলের সুস্থতার স্বপ্ন দেখেন ডা. সামন্তলাল সেন


প্রকাশিত: ০৭:২৯ পিএম, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

আবুল বাজানদার সুস্থ হয়ে নিজ হাতে ভাত খাচ্ছেন এমন সুন্দর একটি দৃশ্য স্বচক্ষে দেখার স্বপ্ন দেখছেন ডা. সামন্তলাল সেন। গত কয়েকবছর ধরে অসহায় এই ছেলেটি কতই না কষ্ট করছে। গাছে মতো হাত পায়ে শেকড় গজিয়ে উঠায় হাত পা থেকেও নেই। মা, স্ত্রী ও বোনদের সহায়তা ছাড়া খাওয়া দাওয়া কিছুই করতে পারেন না। হউক না রোগটি বিরল আসুন আমরা সবাই মিলে আবুল বাজানদারকে সুস্থ করে তুলতে প্রচেষ্টা চালাই।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ বার্ন অ্যান্ড প্লাষ্টিক সার্জারি ইউনিটে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের উপস্থিতিতে সংবাদ সম্মেলন শেষ করার আগে ডা. সেন তার মনের ঐকান্তিক এই প্রচেষ্টার কথা জানান।

ডা. সামন্তলাল সেন বলেন, আবুলের চিকিৎসার ব্যাপারে দেশ বিদেশের খ্যাতনামা চিকিৎসকরা আগ্রহ দেখিয়ে এগিয়ে এসেছেন। এ মুুহূর্তে এটি স্বাস্থ্যখাতের চ্যালেঞ্জ ও তা মোকাবেলায় সম্মিলিত উদ্যোগ ও প্রস্তুতি প্রয়োজন বলে তিনি মন্তব্য করেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বিরল রোগে আক্রান্ত আবুলকে সুস্থ করে তোলার সর্বাত্মক উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। তার চিকিৎসার সব খরচ সরকার বহন করবে। আবুলকে দেখে আসার পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে কথাবার্তা বলার সময় বার বার বিস্ময়, বিরল ইত্যাদি গুণবাচক শব্দ ব্যবহার করছিলেন।

তিনি বলেন, আবুলকে প্রথমে দেখে প্রথমে আমি ভয়ে আতকে উঠেছিলাম। একটি যুবকের দুই পায়ে গাছের মতো শেকড় গজিয়ে উঠেছে এটা কী বাস্তবে ভাবা যায়। তিনি আরো বলেন, আবুলকে আমরা নতুন একটি জীবন ফিরিয়ে দিতে চাই।

ছয় সদস্যের মেডিকেল বোর্ড প্রধান ও জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট এর প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. আবুল কালাম বলেন, আবুলের রক্ত ও টিস্যুও বায়োপসি বিদেশে পাঠানো হবে। বিশেষ সতর্কতার মাধ্যমে সংগৃহীত নমুনা বিদেশে পাঠানোর ব্যাপারে মহাখালী রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) এর মাধ্যমে আইসিডিডিআরবিতে পাঠানো হবে বলে  জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন, চিকিৎসা সার্জারিতে হবে নাকি লেজার পদ্ধতিতে হবে তা এখনও বলার সময় আসেনি। দেশে বিদেশের ল্যাবরেটরিতে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার রিপোর্ট সম্পন্ন হওয়ার পর আলোচনার ভিত্তিতে তা নির্ধারণ করা হবে।

মেডিকেল বোর্ড সদস্য ঢামেক মেডিসিন বিভাগের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. খান মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, এ ধরনের রোগীদের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। আবুলের রোগটি যেন আরো অতিরিক্ত ছড়াতে না পারে সেজন্য তাকে ক্যান্সারের রোগীদের যে সব ওষুধ দেয়া হয় সে ধরনের ওষুধ দেয়া হচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

এমইউ/জেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।