মেসি-সুয়ারেসের হ্যাটট্রিকে ফাইনালে এক পা বার্সার


প্রকাশিত: ০৩:৫২ এএম, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

এমএসএন নামে পরিচিত হয়ে ওঠা আক্রমণত্রয়ী একসঙ্গে জ্বলে উঠলে প্রতিপক্ষ শিবির যে কতটা অসহায় হয়ে পরে তা আরেকবার দেখল ভ্যালেন্সিয়া। লুইস সুয়ারেসের চার আর মেসির হ্যাটট্রিকে অসাধারণ এই জয়ে কোপা দেল রের শিরোপা ধরে রাখার লড়াইয়ের ফাইনালের পথে এক পা দিয়ে রাখল বার্সেলোনা। নিজদের মাঠে প্রতিপক্ষ ভ্যালেন্সিয়াকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে মেসি- সুয়ারেসরা।

ঘরের মাঠ ন্যু ক্যাম্পে শুরু থেকেই গোল উৎসবে মেতে ওঠে বার্সেলোনা। শুরুটা করেন দুর্দান্ত ফর্মে থাকা লুইস সুয়ারেস। ম্যাচের ৭ মিনিটে নেইমারের পাস থেকে গোল করে দলকে লিড এনে দেন উরুগুয়ের এই স্ট্রাইকার। পাঁচ মিনিট বাদে দলকে আবারও উল্লাসে ভাসান সুয়ারেস। ভিদালের ব্যাক পাস থেকে বল পেয়ে ১০ গজ দূর থেকে লক্ষ্যভেদ করে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন এই স্ট্রাইকার।

ম্যাচের ২৯ মিনিটে গোলের খাতায় নাম লেখান বার্সার প্রাণ ভোমরা মেসি। আন্দ্রেস ইনিয়েস্তার বাড়ানো বলে ডি বক্সের মাথায় আর্জেন্টিনা অধিনায়কের উদ্দেশে আলতো ফ্লিক করেন নেইমার, নিখুঁত শটে লক্ষ্যভেদ করেন পাঁচবারের বর্ষসেরা তারকা। বিরতির ঠিক আগে বক্সে ঢুকে পড়া মেসিকে বিপজ্জনকভাবে ফাউল করায় ভালেন্সিয়ার জার্মান ডিফেন্ডার মুস্তাফিকে লাল কার্ড দেখান রেফারি। পেনাল্টি পায় বার্সেলোনা, কিন্তু পোস্টে বল মেরে সহজ সুযোগটি নষ্ট করেন নেইমার। ফলে ৩-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ক্যাতালান শিবির।

এক জন কম নিয়ে খেলা ভালেন্সিয়ার রক্ষণে দ্বিতীয়ার্ধেও চাপ আরও বাড়িয়ে দেয় বার্সেলোনা। ম্যাচের ৫৮ মিনিটে আর্দা তুরানের পাসে বল পেয়ে এক ডিফেন্ডারের বাধা এড়িয়ে নিজের দ্বিতীয় ও দলের চতুর্থ গোলটি করেন বর্ষসেরা তারকা। ৭৪তম মিনিটে প্রতিপক্ষের রক্ষণের ভুলের সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাঁ পায়ের কোনাকুনি শটে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন লিওনেল মেসি।

ম্যাচের ৮৩ থেকে ৮৮ এই পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে আরও দুটি গোল করে নিজের হ্যাটট্রিকসহ চার গোল পূরণ করেন সুয়ারেস। এই চার গোলে সুয়ারেসের এই মৌসুমে মোট গোলসংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৩৩ ম্যাচে ৩৫টি। শেষ পাঁচ মিনিটেই নেইমার তিনটি সহজ সুযোগ নষ্ট করলে ৭-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে মেসি-নেইমার-সুয়ারেসরা।

এমআর/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।