বান্দরবানে বোমা বিস্ফোরণে পুলিশ সদস্য আহত
বান্দরবানের নাইক্ষ্যাংছড়ি উপজেলার বাইশারি বাজারে মাটিতে পুঁতে রাখা বোমা বিস্ফোরণে মোহাম্মদ মাকসুদ নামে এক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। বুধবার রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহত মাকসুদ একজন পুলিশ কনস্টেবল বলে জানা গেছে।
এ নিয়ে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। পাহাড়ি দুর্গম বাইশারি বাজারটি নাক্ষংছড়ির আওতায় হলেও এ এলাকার যোগাযোগ কক্সবাজার সদর ও রামু উপজেলার উপর দিয়ে।
বাইশারি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম বাহাদুর ও সাবেক সেনা সদস্য আবদুল হামিদ জানান, বাজারের আজিজ মওলার কুলিং কর্নারের সামনে রাত ৯টার দিকে হঠাৎ বিকট শব্দে একটি অজ্ঞাত বস্তু বিস্ফোরিত হয়। এটির আঘাতে আহত হন পুলিশ সদস্য মকসুদ। আওয়াজ শুনে দ্রুত ঘটনা স্থলে আহত পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তারা জানান, প্রথমে সবাই বিদ্যুতের ট্রান্সমিটার বিস্ফোরিত হয়েছে বলে ধারণা করলেও ঐ সময় এলাকায় বিদ্যুৎ না থাকায় সবার মাঝে বিষয়টি কৌতুহল ও আতংকের জন্ম দেয়। পরে তল্লাশি করে দেখা যায় পলিথিন মোড়ানো একটি যন্ত্র বিস্ফোরিত হয়েছে। যার সাথে ২০-৩০ গজ দৈর্ঘ্যের বৈদ্যুতিক তারের সংযোগ পাওয়া যায়। তাই এটিকে বিস্ফোরক বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
তারা আরো জানান, প্রতিদিন এই কুলিং কর্নারে পুলিশসহ সাধারণ জনতার সমাগম ঘটে। বাজারের পূর্বে দুর্গম পাহাড় থাকায় এ ঘটনাটি কোন দুর্বৃত্ত গ্রুপের পরিকল্পিত ঘটনা বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ওসিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত হন। নাইক্ষ্যংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবুল খায়ের ঘটনার সত্যতা নশ্চিত করে বলেন, আহত কনস্টেবলকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। হঠাৎ এ ধরনের ঘটনা কেন ঘটলো তা কেউ বুঝতে পারছে না। বিস্ফোরিত যন্ত্রটি কি ধরনের বিস্ফোরক না অন্য কিছু এ ব্যাপারে তদন্ত করা হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, বিস্ফোরণ হওয়া এলাকাটি ঘিরে রাখা হয়েছে। বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করলে আসল রহস্য বের হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত আইন প্রয়োগকারী দলের সদস্য, ব্যবসায়ী এবং স্থানীয়রা বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ দলের অপেক্ষায় ছিলেন।
উল্লেখ্য, রামুর গর্জনিয়ার বড়বিলের দুই শিশু সহোদর হত্যার ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই পাশ্র্ববর্তী বাইশারি বাজারে বোমা বিস্ফোরণ হওয়ায় এলাকার লোকজন আতঙ্কে রয়েছে।
সৈকত দাশ/সায়ীদ আলমগীর/এসএইচএস