‘এপিআই শিল্প পার্ক ওষুধ শিল্পে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ভূমিকা রাখবে’
শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা বলেছেন, ২০২৬ সালে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ ঘটবে। এর ফলে বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি ও প্যাটেন্ট আইনের কারণে অন্যান্য খাতের মতো ওষুধ শিল্পেও কিছু সুবিধা রহিত হবে। এসব বিষয় বিবেচনা করে সরকার এপিআই শিল্প পার্ক প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের ফলে ফার্মাসিউটিক্যালস খাতে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এটি ভূমিকা রাখবে।
শনিবার (২০ আগস্ট) মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) বাস্তবায়নাধীন এপিআই শিল্প পার্ক প্রকল্প পরিদর্শন শেষে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় বিসিক চেয়ারম্যান মাহবুব হোসেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নুরুল আলম, এপিআই-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল মুকতাদিরসহ বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির নেতা ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
শিল্প সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা ওষুধের উৎপাদন বাড়ানো এবং আমদানি কমানোর চেষ্টা করছি। তাছাড়া এপিআই চালু হলে অনেক লোকের কর্মসংস্থান হবে।
এসময় বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির নেতরা শিল্প প্লটগুলোতে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করা, প্লটে মাটি ভরাট, সারচার্জ কমানোসহ বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন।
শিল্প সচিব পার্কের প্লট গুলোতে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতকরণে সময় বেঁধে দিয়ে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন। তিনি খুব দ্রুত সিইটিপি নির্মাণকাজ শেষ করারও তাগিদ দেন।
এনএইচ/এমআইএইচএস/জেআইএম