‘খুনিরা বিদেশেও শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিল’
প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী বলেছেন, ‘১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পেছনে যেসব খুনিরা ছিল, তারা বিদেশেও শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিল। কিন্তু তখন তারা যে দেশে ছিল, সেদেশের সরকার তা প্রতিহত করে।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত স্মারক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
গওহর রিজভী বলেন, জাতির পিতাকে হত্যার ষড়যন্ত্র বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার আগে মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকেই শুরু হয়েছিল। কোনো কোনোটি ছিল ব্যক্তি বিশেষের ষড়যন্ত্র, কোনোটির পেছনে ছিল সম্মিলিত পরিকল্পনা ও উদ্যোগ। বঙ্গবন্ধুকে বন্দি করে পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাকে জীবিত অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য নয়।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু একটি প্রগতিশীল, ধর্মনিরপেক্ষ ও বাঙালি জাতীয়তাবাদভিত্তিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার গোড়াপত্তন করেছিলেন। তাকে নৃশংসভাবে হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশকে স্বাধীনতার পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়াই ছিল খুনিদের চূড়ান্ত লক্ষ্য। এসবের পর্যাপ্ত প্রমাণও পাওয়া গেছে। যথাযথ সময়ে সেসব প্রকাশ করা হবে।
যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম রয়্যাল বারা অব কেনজিংটনের একটি হোটেলে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে স্মারক বক্তৃতা করেন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন এশিয়া ও প্যাসিফিকবিষয়ক শ্যাডো মন্ত্রী ক্যাথরিন ওয়স্ট এমপি, অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ অন বাংলাদেশের ভাইস চেয়ার লর্ড শেখ।
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ওপর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের বার্তা পাঠ করে শোনানো হয়। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে দেওয়া বিরোধীদলীয় ও লেবার পার্টির নেতা স্যার কেয়ার স্টারমারের ভিডিওবার্তা ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নির্মিত বঙ্গবন্ধুর ওপর তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
হাইকমিশনার অতিথিদের নিয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশনের স্মারক প্রকাশনা ‘বঙ্গবন্ধু দ্য ফ্রেন্ড অব বেঙ্গল’ এর মোড়ক উন্মোচন করেন।
অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট সাংস্কৃতিককর্মী ঊর্মি মাজহার, বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাউন্সিলর (পলিটিকস) দেওয়ান মাহমুদুল হক বঙ্গবন্ধু ও ১৫ আগস্টের শহীদদের প্রতি নিবেদিত কবি নির্মলেন্দু গুণের প্রখ্যাত কবিতা ‘সেই রাত্রির কল্পকাহিনী’ আবৃত্তি করেন।
এএএইচ