প্রাইভেটকারে গার্ডার

বারবার নিরাপত্তা লঙ্ঘন, চীনা দূতাবাসকে জানাবে বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৩০ পিএম, ১৬ আগস্ট ২০২২
দুর্ঘটনার প্রাথমিক তদন্তের বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নীলিমা আক্তার

রাজধানীর উত্তরায় নির্মাণাধীন বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের ক্রেন থেকে গার্ডার ছিটকে প্রাইভেটকারের ওপর পড়ে পাঁচজন নিহত হন। এ ঘটনায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না গ্যাঝুবা গ্রুপ করপোরেশনের (সিজিজিসি) দায় দেখছে দুর্ঘটনার পর গঠিত তদন্ত কমিটি। এমনকি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিরাপত্তার বিষয়টি বারবার লঙ্ঘন করেছে বলেও প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। এসব বিষয় বাংলাদেশে অবস্থিত চীনের দূতাবাসকে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কমিটির প্রধান এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নীলিমা আক্তার।

মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের তিনি এসব তথ্য জানান।

নীলিমা আক্তার বলেন, আমাদের এই তদন্ত প্রতিবেদনেও বলা হয়েছে যে, তারা (ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান) নিরাপত্তার বিষয়টি অনেকবারই লঙ্ঘন করেছে। এজন্য আমরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দূতাবাসে জানাতে চাই। এটা তদন্তে আমরা বলেছি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত সচিব বলেন, আমি এক কথায় বলতে চাই, দায় এড়ানোর প্রশ্নই আসে না। বাংলাদেশের নাগরিকদের মূল্যবান জীবন চলে গেছে, এক্ষেত্রে আমরা কোনোরকম আপস করতে চাই না।

তিনি বলেন, আমরা বলছি যে এটি একটি ধারাবাহিক (তদন্তের) বিষয়। কে দায়ী, কতটুকু দায়ী- সেটা কিন্তু ধাপে ধাপে আমাদেরকে পরীক্ষা করে দেখতে হবে। সবগুলোর একসঙ্গে একটা যোগসূত্র আছে। সে জিনিসগুলো আমাদের অনুসরণ করতে হবে। এটা আপনারা এভাবে ভাবার কারণ নাই যে আমরা একটা চাইনিজ কোম্পানিকে দায়ী করে আমাদের দায় ছেড়ে দিচ্ছি। আমাদের নাগরিকের জীবন মূল্যবান। এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। এটা এভাবে ছেড়ে দেওয়া যেতে পারে?

ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে সেজন্য আমরা এই জিনিসগুলোকে পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষা করে দায়টা ফিক্সড করতে চাচ্ছি যে কে কতটুকু দায়ী, বলেন অতিরিক্ত সচিব।

তিনি আরও বলেন, আমাদের কাজ প্রায় ৮০ শতাংশ হয়ে গেছে। এখন আমরা শাস্তি দিতে পারি, তাদের বাতিল করে দিতে পারি। সেক্ষেত্রে আমরা যদি পুনরায় কন্ট্রাক্টর সিলেকশনে যাই তাহলে আমাদের জনগণকে আরও ভোগান্তির দিকে ঠেলে দেওয়া হবে।

কিন্তু ভোগান্তি এক জিনিস আর মরদেহ দেখা আরেক জিনিস জানিয়ে নীলিমা আক্তার বলেন, সেজন্য এ বিষয়ে এখন আমরা আর আপস করছি না।

আইএইচআর/কেএসআর/জিকেএস

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।