প্রাইভেটকারে গার্ডার

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতি দেখছে তদন্ত কমিটি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:৫৫ পিএম, ১৬ আগস্ট ২০২২

রাজধানীর উত্তরায় নির্মাণাধীন বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের ক্রেন দুর্ঘটনায় মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রাথমিক তদন্তে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির বিষয়টি উঠে এসেছে।

মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে সড়ক সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী জাগো নিউজকে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, গতকালের (সোমবার) ঘটনার মূল দায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের। তারা কাউকে না জানিয়ে কাজ করছিল অথচ গতকাল কাজ বন্ধ থাকার কথা। তাদের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী, এ ধরনের ব্যাপার ঘটলে তাদের যে দায়, সেই রকম ব্যবস্থাই তাদের বিরুদ্ধে নেওয়া হবে। এ নিয়ে বিশদভাবে বসবে মন্ত্রণালয় এবং আর কারও কোনো দায় আছে কি না, তা খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সোমবার (১৫ আগস্ট) রাতে উত্তরায় বিআরটি প্রকল্পের ক্রেন দুর্ঘটনায় পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (আরবান ট্রান্সপোর্ট অনুবিভাগ) নীলিমা আখতারকে প্রধান করে এ কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি এক দিনের মধ্যে প্রাথমিক ও দুদিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা বলা হয়।

এর আগে, সোমবার বিকেল সোয়া ৪টার দিকে উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের প্যারাডাইস টাওয়ারের সামনে নির্মাণাধীন বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের ক্রেন থেকে গার্ডার ছিটকে প্রাইভেটকারের উপর পড়ে। গার্ডারটি গাড়ির দুই-তৃতীয়াংশ চাপা দেয়। বাম পাশে থাকা দুজন সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে যান। বেঁচে ফেরা হৃদয় ও রিয়া নবদম্পতি। তবে হৃদয়ের বাবা রুবেল মিয়া, বোন ঝরণা বেগম, ফাহিমা আক্তার ও ঝরণার দুই শিশুসন্তান ঘটনাস্থলে মারা যায়।

পুরো ঘটনা নিজের চোখে দেখেছেন সজীব হোসেন। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘হঠাৎ বিকট শব্দ হয়। তাকিয়ে দেখি- ক্রেন থেকে গার্ডার গাড়ির ওপর পড়লো। দ্রুত সেখানে গিয়ে দেখতে পাই, কয়েকজন বেঁচে আছে। দুজনকে আমরা বের করি।

সজীব বলেন, জাকারিয়া নামের শিশুটা ওর মায়ের কোলে ছিল। গার্ডার চাপ ওর পায়ে পড়লেও মাথা এবং বুক অক্ষত ছির। অনেকক্ষণ ধরে বাইরে তাকিয়ে কাঁদছিল বাচ্চাটা। কিন্তু গার্ডার এমনভাবে ওর পায়ের উপর পড়েছিল যে বের করা সম্ভব হচ্ছিল না। হয়তো পা কেটে ফেললে শিশুটিকে বাঁচানো যেতো।

আইএইচআর/আরএডি/জিকেএস

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।