এর আগেও প্রাণ কেড়েছিল বিআরটির গার্ডার
রাজধানীর উত্তরায় নির্মাণাধীন বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের গার্ডার ক্রেন থেকে ছিটকে পড়ে প্রাণ গেছে প্রাইভেটকারের কয়েকজন যাত্রীর, আহত হয়েছেন কয়েকজন। মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটির পর বিআরটি প্রকল্পের এ কাজে জড়িতদের অবহেলা ছিল কি না, সে প্রশ্ন সামনে আসছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এটিই প্রথম নয়, এর আগেও এ প্রকল্পের গার্ডার দুর্ঘটনা ঘটেছে। ঘটেছে প্রাণহানিও।
ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত যানজট নিরসনে ২০১২ সালে বিআরটি প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। প্রকল্পের কাজ ২০২২ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও মেয়াদ বেড়েছে। এ প্রকল্পের নির্মাণকাজের কারণে উত্তরাসহ আশপাশের এলাকায় যানজট লেগেই থাকে।
সোমবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে উত্তরা জসীম উদদীন এলাকার আড়ংয়ের সামনে প্রকল্পের গার্ডার ক্রেন থেকে ছিটকে পড়ে রাস্তায় চলন্ত প্রাইভেটকারে থাকা চার যাত্রী নিহত হন। আহত হন আরও কয়েকজন।
সোমবারের এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনার আগে গত ১৫ জুলাই বিকেলে চান্দনা চৌরাস্তার কে চৌধুরী অ্যান্ড কোম্পানি ফিলিং স্টেশনের সামনে গার্ডার চাপায় জিয়াউর রহমান (৩০) নামে এক নিরাপত্তারক্ষী নিহত হন।
জানা যায়, ফ্লাইওভারের কাজ করার সময় লঞ্চিং গার্ডার টেইলার গাড়িতে উঠানো হচ্ছিল। এ সময় গার্ডারটি টেইলার থেকে কাত হয়ে জিয়াউর রহমানের ওপর পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। অপর এক শ্রমিক ও এক পথচারী গুরুতর আহত হন।
এরও আগে গত বছরের ১৪ মার্চ সকালে এই বিআরটিরই গার্ডার ভেঙে অন্তত চারজন আহত হন, যাদের মধ্যে দুজন বিদেশিও ছিলেন। তখন ফায়ারকর্মীরা জানান, ক্রেনের মাধ্যমে গার্ডারটি তুলে ফ্লাইওভারে স্থাপনের কাজ চলছিল। সেসময় সেটি ছিটকে ভেঙে পড়ে।
স্থানীয়রা বলছেন, বারবার এভাবে দুর্ঘটনার পরও কর্তৃপক্ষ যথাযথ পদক্ষেপ নেয়নি বলেই সোমবারের এমন ট্র্যাজেডি ঘটলো। নিরাপত্তার বিষয়ে ভবিষ্যতে কোনো পরিকল্পনা না নিলে এ ধরনের দুর্ঘটনার শঙ্কা থেকেই যাবে।
এ বিষয়ে ঢাকা বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) কোম্পানি লিমিটেডের সেতু বিভাগ অংশের প্রকল্প পরিচালক মহিরুল ইসলাম খানের সঙ্গে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
টিটি/এইচএ/এমকেআর/এএসএম