‘শিশুদের জন্য এই টিকা নিরাপদ, যুক্তরাষ্ট্রেও দেওয়া হচ্ছে’
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে শিশুদের টিকাদান প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, শিশুদের এই টিকা বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। এটি খুবই নিরাপদ। যুক্তরাষ্ট্রে এই টিকা দেওয়া হচ্ছে। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর অনুমোদন দিয়েছে। যেসব টিকা এসেছে, সেগুলো দুই মাসের ব্যবধানে দিতে হবে। ২৫ আগস্ট থেকে পুরোদমে টিকাদান শুরু হবে।
বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ৫ থেকে ১১ বছরের শিশুদের করোনা টিকা প্রদান কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিকের দুই কোটি ২০ লাখ শিশুকে টিকা দিতে হবে। এই শিশুদের জন্য আমাদের প্রায় ৪ কোটি ৪০ লাখ টিকা লাগবে। আমরা এরইমধ্যে ৩০ লাখের মতো টিকা হাতে পেয়েছি। বাকি টিকা যুক্তরাষ্ট্র সরকার কোভ্যাক্সের মাধ্যমে আমাদেরকে দেবে বলে নিশ্চিত করেছে।
করোনায় শিশুদের ঝুঁকি কম উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, শিশুরা এমনিতেই করোনা থেকে নিরাপদ ছিল। করোনায় এখন পর্যন্ত দেশে ২৯ হাজার লোক মারা গেছেন, যাদের মধ্যে ৫০ বছরের ঊর্ধ্বে ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ। এই তালিকায় যুবকদের সংখ্যা খুবই কম। আর ৫ থেকে ১১ বছরের কারও মৃত্যুর খবর এখনও শোনা যায়নি।
বুস্টার ডোজ টিকা কার্যক্রমে পুরুষের তুলনায় নারীরা পিছিয়ে আছে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজে পুরুষ-নারীরা প্রায় সমান সমান হলেও বুস্টার ডোজে নারীরা পিছিয়ে আছে। দ্বিতীয় ডোজ নিয়েও অনেক নারী বুস্টার ডোজ নিচ্ছেন না।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ৫ থেকে ১১ বছরের শিশুদের করোনা টিকা প্রদান কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়
তিনি বলেন, টিকা কার্যক্রম পরিচালনায় আমরা দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম হয়েছি। সারাবিশ্ব আমাদের প্রশংসা করছে। অনেক দেশ এখনও ১০/১৫ শতাংশ মানুষকে টিকা দিতে পারেনি। কিন্তু বাংলাদেশ টিকা দিয়ে মানুষকে সুরক্ষায় নিয়ে এসেছে। মৃত্যুও শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা একদিনে এক কোটি বিশ লাখ টিকা দিয়েছি। টিকায় আমাদের সক্ষমতা আছে। বিশ্ববাসী জানে আমরা টিকা দিতে পারি।
তিনি বলেন, আমরা শুরু থেকেই একটা চেইন মেইনটেইন করে টিকা দিয়েছি। আমরা ঝুঁকি বিবেচনায় পঞ্চাশোর্ধ্বদের আগে টিকা দিয়েছি। ফ্রন্টলাইনারদেরও আগে দিয়েছি। সবশেষে এখন শিশুদের টিকা হাতে পেয়েছি, তাই কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছি।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বাংলাদেশ প্রতিনিধি রাজেন্দ্র বোহরা, ইউনিসেফের বাংলাদেশ প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট প্রমুখ।
এএএম/কেএসআর/এএসএম