অপরিণত নবজাতকের মৃত্যুরোধে গাইডলাইন


প্রকাশিত: ১০:১১ এএম, ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

অপরিণত বয়সে জন্ম নেয়া নেয়া অপেক্ষাকৃত কম ওজনের নবজাতক শিশুর অকাল মৃত্যুরোধে নতুন জাতীয় গাইডলাইন প্রণয়ন করেছে সরকার। এ গাইডলাইনের আওতায় সরকারি হাসপাতালগুলোতে ‘ক্যাঙ্গারু মাদার কেয়ার’ পদ্ধতিতে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হবে। এ গাইডলাইন প্রণয়নে সরকারকে সহায়তা করেছে আন্তজার্তিক উদারাময় গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি)।

জানা গেছে, ক্যাঙ্গারু মাদার কেয়ার পদ্ধতিতে নির্ধারিত সময়ের আগেই জম্মগ্রহণকারী ও কম ওজনের নবজাতক শিশুকে (ক্যাঙ্গারু যেমন শিশুকে তার বুকের থলের ভেতরে ঢুকিয়ে রাখে) মায়ের বুকের মধ্যে রেখে, মায়ের সাথে নবজাতকের নিবিড় আলিঙ্গনের মাধ্যমে উষ্ণ তাপের আবহ তৈরি করা হয়। এছাড়া জম্মের পর পরই নবজাতক শিশুকে শালদুধ খাওয়ানোর পাশাপাশি প্রয়োজন অনুসারে মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো হয়। এর ফলে শিশু নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পায়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে ৩৭ সপ্তাহের আগে কোনো নবজাতক শিশু ভূমিষ্ঠ হলে তাকে প্রি ম্যাচিউর বা অপরিণত নবজাতক শিশু বলা হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে সাধারণত ৩৯ সপ্তাহের আগে নরমাল কিংবা সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার করে নবজাতকের ভূমিষ্ঠ হওয়া উচিত নয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে বাংলাদেশে প্রতি বছর সোয়া চার লাখ অপরিণত বয়সের নবজাতক জম্মগ্রহণ করে। অপরিণত নবজাতক জম্মগ্রহনকারী শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের স্থান ৭ম। শীর্ষ দেশের তালিকায় রয়েছে ভারত, চীন, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফিলিপাইন, কঙ্গো ও ব্রাজিল।

জানা গেছে, আইসিডিডিআরবি’র চাঁদপুর মতলব হাসপাতালে কাঙ্গারু মাদার কেয়ার পদ্ধতিতে নবজাতকের অকাল মৃত্যুরোধের সফলতা পাওয়ায় সরকারি হাসপাতালে এ পদ্ধতিতে চিকিৎসাসেবা প্রদানের লক্ষ্যে এ গাইডলাইন প্রণীত হয়।

চাঁদপুর ছাড়াও কুষ্টিয়ার তিনটি হাসপাতালেও ক্যাঙ্গারু মাদার কেয়ার পদ্ধতি প্রয়োগে নবজাতকের মৃত্যুরোধ বহুলাংশ হ্রাসের প্রমাণ পেয়েছেন আইসিডিডিআরবির গবেষকরা।

আইসিডিডিআরবির মা ও শিশু স্বাস্থ্য বিভাগের সিনিয়র রিসার্চ ইনভেস্টিগেটর ড.আহমেদ এহসানুর রহমান বলেন, ক্যাঙ্গারু মাদার কেয়ার পদ্ধতিতে জনবল ও সম্পদের সীমাবদ্ধতার ঘাটতি কাটিয়ে নবজাতকের মৃত্যুরোধ সম্ভব।

এমইউ/এসকেডি/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।