এক ডাবের দাম ১৫০ টাকা

মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল
মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল , বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ১১:৩০ এএম, ০৮ আগস্ট ২০২২

অডিও শুনুন

জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে ডাবের বাজারে। দুদিন আগেও খুচরা পর্যায়ে প্রতি পিস ডাব যেখানে ১২০ টাকায় বিক্রি হতো সেই একই ডাব এখন প্রতি পিস ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বিক্রেতারা বলছেন, বর্তমানে ডাবের চাহিদার তুলনায় সরবরাহ তুলনামূলক কম। একদিকে ব্যাপক চাহিদা অন্যদিকে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় ডাবের দাম এক লাফে ৩০ টাকা বেড়ে দেড়শ টাকায় বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।

ক্রেতারা বলছেন, করোনার শুরুতে প্রতি পিস ডাব যেখানে ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হতো সেই ডাব এখন প্রতি পিস দেড়শ টাকা। ডাবের মূল্য নিয়ন্ত্রণ এখন জরুরি হয়ে পড়েছে বলে তারা অভিমত ব্যক্ত করেন।

সোমবার, সকাল সাড়ে ৭টা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির অদূরে শহীদ সোহরাওয়ার্দীর গেটের সামনে পার্কে নিয়মিত প্রাতঃভ্রমণে আসা এক তরুণকে ডাব বিক্রেতার সঙ্গে দাম নিয়ে কথা কাটাকাটি করতে দেখা যায়।

ওই তরুণ ডাব বিক্রেতাকে বলছিলেন, প্রাতঃভ্রমণ শেষে প্রায় প্রতিদিনই আপনার দোকান থেকে ডাব কিনে খাই। গতকালও তো ১২০ টাকায় খেলাম। কি এমন হলো যে একলাফে ডাবের দাম ১৫০ টাকা হয়ে গেলো। ১০ টাকা লাভে ১৩০ টাকা দেই, একটা ডাব কাটেন।

jagonews24

এমন কথার জবাবে ডাব বিক্রেতা রমিজ ব্যাপারী বলেন, এক দাম দেড়শ টাকা। মোকাম থেকে ১০০ পিস ডাব কিনতেই খরচ হয়েছে ১২ হাজার টাকা। সেখান থেকে ভ্যানে করে ডাবগুলো নিয়ে আসতে ভ্যানগাড়ি ভাড়া ও নাস্তা বাবদ আরও খরচ যোগ হয়েছে। ফলে দেড়শ টাকা বিক্রি না করলে পোষাবে না। শেষ পর্যন্ত রাগে গজগজ করতে করতে তরুণকে দেড়শ টাকায় ডাব কিনে খেতে দেখা যায়।

ভ্যাপসা গরমে পিপাসা মেটাতে অনেকেরই পছন্দের তালিকায় রয়েছে ডাব। কিন্তু দিনকে দিন ডাবের দাম বৃদ্ধির ফলে তা সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। গত ৫ আগস্ট কেরোসিন, পেট্রোল অকটেন ও ডিজেলের দাম লিটার প্রতি ৪২-৫২ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ায় পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধির ফলে ডাবের দাম বেড়েছে।

পাইকারি বিক্রেতারা বলছেন, বর্তমানে ডাবের উৎপাদন এমনিতেই কম। তাছাড়া গরমের কারণে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এমতাবস্থায় জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি পাওয়ায় দাম বাড়াটাই স্বাভাবিক।

সোমবার সকালে এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে আফসার আহমেদ নামক এক তরুণ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, করোনার শুরুর দিকে বড় সাইজের একটি ডাবের দাম ছিল সর্বোচ্চ ৬০ টাকা। আজ সেটি দেড়শ টাকায় কিনে খেতে হলো। দেশ কোথায় যে যাচ্ছে, বাজার নিয়ন্ত্রণের কেউ বুঝি নেই।

ডাব বিক্রেতা রমিজ ব্যাপারী বলেন, তারা পাইকারি বাজার থেকে কমে কিনতে পারলে কম দামে বিক্রি করেন আর বেশি দামে কিনলে বেশি দামে বিক্রি করেন। এখানে তার মুনাফা খুবই সীমিত বলে মন্তব্য করেন।

এমইউ/এমআরএম/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।