খুলনায় গণপূর্তের ১০ কোটি টাকার কাজ ভাগ বাটোয়ারা


প্রকাশিত: ০৪:০০ পিএম, ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬
ফাইল ছবি

খুলনায় টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের ডরমেটরি ও জুটশেড ভবন নির্মাণের ১০ কোটি টাকার ঠিকাদারি কাজ আওয়ামী লীগ সমর্থিত ঠিকাদাররা ভাগ বাটোয়ারা করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

খুলনার এক প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার নির্দেশে রোববার রাতেই যুবলীগ নেতারা ঠিকাদারদের কাছ থেকে শিডিউল ছিনিয়ে নেয়। এজন্য দুটি গ্রুপের কাজে মোট ১৬টি সিডিউল বিক্রি হলেও জমা পড়েছে একটি করে।
 
গণপূর্ত বিভাগ-২ থেকে জানা গেছে, পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সারাদেশে চারটি টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট নির্মাণ প্রকল্পের অধীনে খুলনার ইনস্টিটিউটের জন্য দুটি ভবন নির্মাণের দরপত্র আহ্বান করা হয় গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর। গতকাল সোমবার ছিল দরপত্র জমা দেয়ার শেষ সময়।

দরপত্রে ডরমেটরি ভবন নির্মাণ ব্যয় তিন কোটি ৭৫ লাখ এবং জুট শেড ভবন নির্মাণের জন্য ব্যয় ছয় কোটি ৫ লাখ টাকা। প্রথম গ্রুপে ১০টি এবং দ্বিতীয় গ্রুপের জন্য ৬টি শিডিউল বিক্রি হয়। কিন্তু সোমবার দরপত্র বাক্স খুলে দেখা যায় দুটি গ্রুপে একটি করে শিডিউল জমা পড়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ঠিকাদার জাগো নিউজকে জানান, রোববার রাতেই তাদের কাছ থেকে একজন প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার নাম বলে শিডিউল কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এজন্য ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও তারা কেউ শিডিউল জমা দিতে পারেননি। প্রভাবশালী ওই নেতার নাম এবং নিজের নাম গণমাধ্যমে প্রকাশ করতে রাজি হননি তিনি।

গণপূর্ত বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ সারওয়ার জাহান জাগো নিউজকে বলেন, প্রথম গ্রুপে মেসার্স বদরুল ইকবাল লিমিটেড এবং দ্বিতীয় গ্রুপে তমা কন্সট্রাকশন নামের একটি করে ফার্ম শিডিউল জমা দিয়েছেন। শিডিউলগুলো এখন পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ও প্রকল্প পরিচালক শেখ ইউসুফ আলীর দফতরে পাঠানো হবে। তিনিই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। তিনি বলেন, শিডিউল কেড়ে নেয়ার কোনো অভিযোগ তিনি পাননি।

তবে এ ব্যাপারে যুবলীগ নেতা শওকত হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে জাগো নিউজকে বলেন, তিনি সোমবার গণপূর্ত বিভাগেই যাননি। এছাড়া ঠিকাদারি কাজ ভাগ বাটোয়ারা হয়েছে কিনা তা তার জানা নেই। তিনি কারও কাছ থেকে কোনো শিডিউলও নেননি।

আলমগীর হান্নান/এমজেড/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।