৮ দেশের ২শ কবির মিলনমেলা জাতীয় কবিতা উৎসব
কবিতা মৈত্রীর কবিতা শান্তির- এ স্লোগানকে সামনে রেখে শুরু হয়েছে জাতীয় কবিতা উৎসব। আটটি দেশের দুশোর বেশি কবি অংশ নিচ্ছেন এ উৎসবে; যা এ উৎসবকে দেশের সবচেয়ে বড় কবিতা উৎসবের খেতাব এনে দিয়েছে।
সোমবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি চত্বরে উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক। আগামীকাল রাতে উৎসবের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সৈয়দ শামসুল হক বলেন, ‘‘আজ আমরা এখানে এসেছি কবিতার মৈত্রী স্থাপনের জন্য। শুধুমাত্র এই উৎসব আমাদের একত্রিত করেনি বরং কবিতা আমাদের একত্রিত করেছে। কারণ, আমাদের উদ্দেশ্য, লক্ষ্য, চিন্তা-চেতনা, শব্দ-উপমা এক। এগুলোই আমাদের একসাথে করেছে।”
বিদেশি কবিদের মধ্যে কবিতা উৎসবে আছেন সুইডিশ কবি লারস হেগার। তিনি বলেন, ‘‘আমি সত্যিই আনন্দিত এখানে আসতে পেরে। বাংলাদেশের কবিতা ও কবিদের আতিথিয়তায় আমি মুগ্ধ।”
অনুষ্ঠানে ভারতের জনপ্রিয় প্রাবন্ধিক শংকর লাল ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘কবিতাকে বলতে দিন কবিতার কথা। কবিদের, কবিতার মৈত্রীর অভাব ঘটেছে। বন্ধনের অভাব ঘটেছে, শব্দের অভাব ঘটেছে। এমন অবস্থায় কবিতাকে উঠে দাড়াঁতে হয়, অতীতে যেমনটি দাঁড়িয়েছে। ইন্টারনেটে সৃষ্ট ভাষা কবিতার শব্দকে গ্রাস করছে।”
এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে আগত বিদেশি কবিদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন সৈয়দ শামসুল হক।
উৎসবে অন্য কবিদের মধ্যে উপস্থিত আছেন- ভারতীয় কবি বীথি চট্টোপাধ্যায়, সেবন্তী ঘোষ, আনসার উল হক, রাসবিহারী দত্ত ও মোহর চট্টোপাধ্যায়, সুইডিশ কবি বেনত বার্গ, নরওয়েজিয়ান কবি এরলিং কিতেনসেন, সোভাকিশ কবি মিলান রিচার, মরক্কোর কবি বেনাইসা বোমালা প্রমুখ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর শুরু হয় মুক্ত আলোচনা পর্ব। এরপর শুরু হয় কবিতা পাঠ পর্ব। রাতে থাকছে আবৃত্তি পর্ব।
উৎসবের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার বেলা ১১টায় শুরু হবে সেমিনার। আজকের মতো আগামীকাল দুপুরের পরও থাকবে কবিতা পাঠ পর্ব। রাতে কবিতা উৎসবের ইতি টানার আগে বিকেলে পুরস্কার ঘোষণা করা হবে।
এমএইচ/এনএফ/এমএস