‘ফেসবুক-টিকটকের কারণে বাড়ছে মানবপাচার’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:৫০ পিএম, ৩০ জুলাই ২০২২

মানবপাচারকারীরা সাইবার স্পেসে ঢুকে গেছে, বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে তারা মানবপাচার করছে। সাম্প্রতিক সময়ে ফেসবুক ও টিকটকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে মানবপাচার বেড়েছে। বিশেষ করে মহামারি করোনাকালে এই প্রবণতা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।

দেশের অর্থও তারা অবৈধ ব্যাংকিং চ্যানেলে পাচার করছে। মানবপাচার রোধে পাচারকারীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি বিশ্বের উন্নত দেশগুলোকে মানবপাচার রোধে এগিয়ে আসতে হবে।

শনিবার (৩০ জুলাই) হো‌টেল ইন্টারক‌ন্টি‌নেন্টা‌লে ‘বিশ্ব মানবপাচার প্রতিরোধ দিবস’ উপলক্ষে আইওএম (আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা) আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বক্তারা।

অনুষ্ঠা‌নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মো‌মেন বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে মানবপাচার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা প্রযুক্তির ব্যবহার করে মানবপাচার রোধ করতে পারি।

jagonews24

মানবপাচার প্রতিরোধে চারটি পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সচেতনতা বৃদ্ধি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যথাযথ পদক্ষেপ ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করে মানবপাচারকারীদের শনাক্ত ও অভিযান পরিচালনা করতে হবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ব‌লে‌ন, মানবপাচার প্রতি‌রোধে শূন্য সহিষ্ণু নীতি দেখা‌চ্ছে সরকার।

রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আসাদুজ্জামান খান বলেন, বাংলাদে‌শের জন‌্য বোঝা হ‌য়ে দা‌ঁড়ি‌য়ে‌ছে রোহিঙ্গারা। বাংলাদেশ চায় তাদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকশন বলেন, প্রযুক্তি ব্যবহার করে যেমন পাচারকারীরা তাদের কাজ করছে, আমরাও প্রযুক্তি ব্যবহার করে এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে পারি।

মহামারির কারণে পাচারের সংখ্যা বেড়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেরও পাচার অন্যতম সমস্যা। পাচার রোধে আমরা বাংলাদেশকে বিভিন্নভাবে সাহায্য ও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। আমরা প্রায় ৩০ হাজার নারীকে অবৈধভাবে পাচার রোধে প্রশিক্ষণ দিয়েছি।

jagonews24

বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড বলেন, মানবপাচার রোধে সুইজারল্যান্ড সরকার ও বাংলাদেশ সরকার ১২ বছর ধরে একসঙ্গে কাজ করছে। সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে পাচার বেড়েছে। তবে আমরাও সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে পাচার রোধ করতে পারি।

আইওএম’র বাংলাদেশি অভিবাসনের প্রতিনিধি প্রধান আব্দুস সাত্তার ইসোভ বলেন, করোনার সময় থেকে মানবপাচাকারীরা প্রযুক্তি ব্যবহার করে পাচারে আরও বেশি সক্রিয় হয়েছে। প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমাদেরও পাচার প্রতিরোধে কাজ করতে হবে। তবে এটি একার পক্ষে সম্ভব নয়, সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মানবপাচার ঠেকানো সম্ভব।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন বলেন, বাংলাদেশ সপ্তম দেশ হিসেবে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে। প্রযুক্তির ফলে সহজে অপরাধীরা পাচারের জন্য মানুষকে খুঁজে পায়, প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমাদেরও উচিত তাদের বিরুদ্ধে কাজ করা। অবশ্য মানবপাচারবিরোধী বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে সরকার।

টিটি/এমপি/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।