খুলনার হতদরিদ্র আবুল এখন ‘ভিভিআইপি’


প্রকাশিত: ০৩:৫৫ পিএম, ৩১ জানুয়ারি ২০১৬

খুলনার হতদরিদ্র যুবক আবুল বাজনদার ‘ভিভিআইপি’ ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছেন। বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জন ডা. সামন্ত লাল সেনের নেতৃত্বে তার সুচিকিৎসায় রোববার ছয় সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠিত হয়েছে।

দেশ-বিদেশের চিকিৎসকরা ওই যুবকের চিকিৎসা কার্যক্রমে অংশীদার হতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। বিশ্বের নামিদামি গণমাধ্যমে তাকে নিয়ে প্রতিবেদনও প্রকাশিত হচ্ছে। তাকে দেখতে ঢামেক হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগে ছুটে আসছেন বহু মানুষ। বৃক্ষ মানব খ্যাত আবুল কর্মহীন যুবক হলেও বিরল রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণেই সবার দৃষ্টি আকর্ষন করতে সক্ষম হয়েছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ জাগো নিউজকে জানান, আবুলসহ বিশ্বে  মাত্র তিনজন ইপিডারমোডি স্প্লাসিয়া ভেরোসিফারমিস ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের কাছে সে গবেষণার দামি উপাদান। তাই তো তাকে নিয়ে এত মাতামাতি।

ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, বিরল রোগে আক্রান্ত আবুলের সুচিকিৎসা সকলের কাম্য। তাই দেশ-বিদেশের যারাই তার চিকিৎসায় আগ্রহ প্রকাশ করবেন তাদেরকে তিনি স্বাগত জানাবেন।

রোববার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লজ এঞ্জেলস্রে নরিস কমপ্রেহেনসিভ ক্যান্সার সেন্টারের অধ্যাপক ডা. মার্টিন ইমেইলে যোগাযোগ করে তার চিকিৎসার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেন বলেও জানান ডা. সামন্ত লাল।

শনিবার রাতে আবুল বাজনদারের চিকিৎসা সহায়তায় আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন লেজার ও কসমেটিক সার্জন ডা. সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম।

ডা. সেন জানান, ডা. শামীম আগ্রহ প্রকাশ করায় সোমবার বার্ন ইউনিটে মতবিনিময়ের জন্য তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আবুলের সুচিকিৎসার ব্যাপারে দেশ বিদেশের যারাই আগ্রহ দেখাবেন তাদের কাউকেই তিনি বিমুখ করবেন না বলে মন্তব্য করেন।

এর আগে ডা. শামীম জাগো নিউজকে জানিয়েছিলেন, সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে মুখে খাওয়ার প্রয়োজনীয় ওষুধ ও বিশেষায়িত কার্বন ডাই অক্সাইড লেজার চিকিৎসার (তার ভাষায় সিস্টেমিক থেরাপি সিওটু লেজার এবলাশন ডিবাঙ্কিং) মাধ্যমে ধীরে ধীরে তার প্লাস্টিক সার্জারি অস্ত্রোপচারের জন্য তৈরি করতে হবে। তার মতে এ মুহুর্তে প্লাস্টিক সার্জারি করা ভাল সিদ্ধান্ত হবে না বলে মতামত ব্যক্ত করেছিলেন।

এমইউ/একে

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।