মোবাইল ফোন ব্যবহারে এগিয়ে পুরুষ পিছিয়ে নারী
বহুল প্রতীক্ষিত জনশুমারি ও গৃহগণনা বিশ্লেষণে দেখা গেছে, পাঁচ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সীদের মধ্যে ৬৬ দশমিক ৫৩ শতাংশ পুরুষের ও ৪৫ দশমিক ৫৩ শতাংশ নারীর নিজ ব্যবহারের মোবাইল ফোন রয়েছে। এছাড়া ১৮ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সীদের মধ্যে নিজ ব্যবহারের মোবাইল রয়েছে ৮৬ দশমিক ৭২ শতাংশ পুরুষের ও ৫৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ নারীর।
বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, উভয় শ্রেণির বয়সীদের মধ্যে নিজ ব্যবহারের মোবাইল ফোন রয়েছে এমন জনসংখ্যা সর্বাধিক ঢাকা বিভাগে এবং সর্বনিম্ন সিলেট বিভাগে।
বুধবার (২৭ জুলাই) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের আওতায় বিবিএস-এর মাধ্যমে বাস্তবায়িত প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এর প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।
পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন। প্রাথমিক প্রতিবেদন বিষয়ক উপস্থাপনা করেন প্রকল্প পরিচালক মো. দিলদার হোসেন।
প্রাথমিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ প্রতিবেদন অনুযায়ী মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা পাঁচ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সীদের মধ্যে মোট ৫৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ এবং আঠারো বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সীদের মধ্যে ৭২ দশমিক ৩১ শতাংশ জনসংখ্যার নিজ ব্যবহারের মোবাইল ফোন রয়েছে।
২০২২ সালে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা পাঁচ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সীদের মধ্যে মোট ৩০ দশমিক ৬৮ শতাংশ এবং ১৮ আঠারো বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সীদের মধ্যে ৩৭ দশমিক এক শতাংশ জনসংখ্যা গত তিন মাসে ইন্টারনেট ব্যবহার করেছে। লিঙ্গভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, পাঁচ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সীদের মধ্যে ৩৮ দশমিক দুই শতাংশ পুরুষের ও ২৩ দশমিক ৫২ শতাংশ নারীর এবং ১৮ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সীদের মধ্যে ৪৬ দশমিক ৫৩ শতাংশ পুরুষের ও ২৮ দশমিক ৯ শতাংশ নারী গত তিন মাসে ইন্টারনেট ব্যবহার করেছে।
বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে পরিলক্ষিত হয়, উভয় শ্রেণির বয়সীদের মধ্যে গত তিন মাসে ইন্টারনেট ব্যবহার করেছে এমন জনসংখ্যা সর্বাধিক ঢাকা বিভাগে এবং সর্বনিম্ন রংপুর বিভাগে।
এমওএস/এমআইএইচএস/এমএস