সাক্ষরতায় এগিয়ে পুরুষ, পিছিয়ে নারী
বহুল প্রতীক্ষিত জনশুমারি ও গৃহগণনায় লিঙ্গভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, দেশে সাক্ষরতায় নারীদের তুলনায় এগিয়েছে পুরুষ। পুরুষের সাক্ষরতার হার ৭৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ, নারীদের ৭২ দশমিক ৮২ শতাংশ এবং তৃতীয় লিঙ্গের ৫৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
বুধবার (২৭ জুলাই) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের আওতায় বিবিএস-এর মাধ্যমে বাস্তবায়িত প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এর প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এসময় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন। প্রাথমিক প্রতিবেদন বিষয়ক উপস্থাপনা করেন প্রকল্প পরিচালক মো. দিলদার হোসেন।
প্রাথমিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০২২ সালে বাংলাদেশে মোট (পুরুষ ও নারী) সাক্ষরতার হার (৭ বছর ও তদূর্ধ্ব) ৭৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ। যা গ্রামে ৭১ দশমিক ৫৬ শতাংশ এবং শহরে ৮১ দশমিক ২৮ শতাংশ। মোট সাক্ষরতার সর্বোচ্চ হার ঢাকা বিভাগে ৭৮ দশমিক নয় শতাংশ। সর্বনিম্ন হার ময়মনসিংহ বিভাগে ৬৭ দশমিক নয় শতাংশ।
২০১১ সালে মোট সাক্ষতার হার ছিল ৫১ দশমিক ৭৭ শতাংশ। বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে বরিশাল বিভাগে সর্বোচ্চ ৫৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং সিলেট বিভাগে সর্বনিম্ন ৪৫ দশমিক এক শতাংশ হার পাওয়া যায়।
এমওএস/এমআইএইচএস/এমএস