সাক্ষরতায় এগিয়ে ঢাকা, পিছিয়ে ময়মনসিংহ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:০৭ পিএম, ২৭ জুলাই ২০২২

দেশের জনসংখ্যা অনুপাতে মোট সাক্ষরতার হার ৭৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগ সর্বোচ্চ ৭৮ দশমিক ৯ শতাংশ হার নিয়ে এগিয়ে। অন্যদিকে সর্বনিম্ন সাক্ষরতার হার ময়মনসিংহ বিভাগে ৬৭ দশমিক ৯ শতাংশ।

বুধবার (২৭ জুলাই) নগরীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের আওতায় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মাধ্যমে বাস্তবায়িত প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এর প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।

এতে বলা হয়, দেশের মোট জনসংখ্যা এখন ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। যেখানে ৮ কোটি ১৭ লাখ পুরুষ ও ৮ কোটি ৩৩ লাখ নারী আর ১২ হাজার ৬২৯ জন তৃতীয় লিঙ্গ।

প্রতিবেদনে সাক্ষরতার হারের হিসাবে বলা হয়, দেশের নারী-পুরুষ মিলে মোট সাক্ষরতার হার ৭৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ। যার মধ্যে অঞ্চলভেদে গ্রামাঞ্চলে ৭১ দশমিক ৫৬ শতাংশ এবং শহর এলাকায় ৮১ দশমিক ২৮ শতাংশ।

অন্যদিকে নারী-পুরুষ লিঙ্গভিত্তিক বিবেচনায় পুরুষের সাক্ষরতার হার ৭৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ, নারী শিক্ষার হার ৭২ দশমিক ৮২ শতাংশ এবং তৃতীয় লিঙ্গের সাক্ষরতার হার ৫৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ। ২০১১ সালে নারী-পুরুষ মিলে সাক্ষরতার হার ছিলো ৫১ দশমিক ৭৭ শতাংশ।

বিভাগভিত্তিক জরিপে এগিয়ে থাকা ঢাকা বিভাগে মোট সাক্ষরতার হার ৭৮ দশমিক ৯ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষ ৮০ দশমিক ৮ শতাংশ, নারী ৭৬ দশমিক ২ শতাংশ এবং হিজড়া ৫৬ দশমিক ৯ শতাংশ।

ঢাকা বিভাগের শহর এলাকায় মোট সাক্ষরতার হার ৮৩ দশমিক ৪০ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষ ৮৫ দশমিক ৮১ শতাংশ, নারী ৮১ দশমিক ৪৮ শতাংশ এবং হিজড়া ৫৬ দশমিক ৯৯ শতাংশ। অন্যদিকে গ্রাম এলাকায় এ হার পুরুষ ৭৫ দশমিক ১৭ শতাংশ, নারী ৭১ দশমিক ৪৭ শতাংশ এবং তৃতীয় লিঙ্গের ৫৪ দশমিক ৫৬ শতাংশ।

সবচেয়ে পিছিয়ে থাকা ময়মনসিংহ বিভাগে মোট সাক্ষরতার হার ৬৭ দশমিক ৯ শতাংশ। পুরুষ ৬৮ দশমিক ৭৭ শতাংশ, নারী ৬৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ এবং তৃতীয় লিঙ্গ ৪৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ।

ময়মনসিংহ বিভাগের শহর এলাকায় মোট সাক্ষরতার হার ৭৭ দশমিক ৬৭ শতাংশ। গ্রামাঞ্চলে এ হার ৬৪ দশমিক ৫৯ শতাংশ। গ্রামে সাক্ষরতার হারে পুরুষ ৬৬ দশমিক ১০ শতাংশ, নারী ৬৩ দশমিক ১৭ শতাংশ এবং তৃতীয় লিঙ্গ ৪১ দশমিক ৩২ শতাংশ।

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এছাড়াও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন। প্রাথমিক প্রতিবেদন বিষয়ক উপস্থাপনা করেন প্রকল্প পরিচালক মো. দিলদার হোসেন।

এমআইএস/এসএইচএস/এমকেআর/জিকেএস

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।