বিশুদ্ধ পানি পান করেন দেশের শতভাগ মানুষ
দেশের মোট জনসংখ্যার শতভাগই বিশুদ্ধ খাবার পানি পাচ্ছেন বলে জানানো হয়েছে ২০২২ সালে প্রকাশিত জনশুমারির প্রাথমিক প্রতিবেদনে। মোট পানির উৎসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পানি ব্যবহার হয় টিউবওয়েলের। এরপর আছে সাপ্লাই ও পুকুর/নদী/খাল/লেকের পানি।
বুধবার (২৭ জুলাই) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রথম ডিজিটাল ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২’-এর প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এ ফলাফল জানানো হয়। সারাদেশে গত ১৫ জুন একযোগে শুরু হয় জনশুমারি ও গৃহগণনা কার্যক্রম। গত ২১ জুন জনশুমারি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলায় বন্যা শুরু হওয়ায় এসব জেলায় শুমারি কার্যক্রম ২৮ জুন পর্যন্ত চলে।
এতে বলা হয়, দেশের মোট জনসংখ্যা এখন ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। যেখানে ৮ কোটি ১৭ লাখ পুরুষ ও ৮ কোটি ৩৩ লাখ নারী আর ১২ হাজার ৬২৯ জন তৃতীয় লিঙ্গের।
খাবার পানির প্রধান উৎস জরিপে বলা হয়, সব বিভাগেই শতভাগ মানুষ বিশুদ্ধ খাবার পানি পাচ্ছে। এর মধ্যে গভীর/অগভীর টিউবওয়েলের পানি পান করেন ৮৫ শতাংশ, সাপ্লাই পানি পান করেন ১১ দশমিক ৭৪ শতাংশ, বোতলজাত পানি পান করেন শূন্য দশমিক ৫৯ শতাংশ, কূপের পানি পান করেন শূন্য দশমিক ৩৫ শতাংশ, পুকুর/নদী/খাল/লেকের পানি পান করেন শূন্য দশমিক ৮৯ শতাংশ, ঝরনা/ছড়ার পানি পান করেন শূন্য দশমিক ১২ শতাংশ, বৃষ্টির পানি পান করেন শূন্য দশমিক ৪২ শতাংশ এবং অন্যান্য উপায়ে শূন্য দশমিক ২৪ শতাংশ মানুষ পানি পান করেন।
প্রতিবেদন প্রকাশনা অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন। প্রাথমিক প্রতিবেদন বিষয়ক উপস্থাপনা করেন প্রকল্প পরিচালক মো. দিলদার হোসেন।
এমআইএস/এএসএ/এএসএম