টয়লেট ব্যবহারে সবচেয়ে স্মার্ট ঢাকার মানুষ
ঢাকা বিভাগের মানুষ টয়লেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে স্মার্ট ও পরিচ্ছন্ন। একই সঙ্গে খোলা জায়গায় ল্যাট্রিন করেন বা ল্যাট্রিন নেই এ সংখ্যা শূন্য দশমিক ২৮ শতাংশ, যা সবচেয়ে কম। জনশুমারি ২০২২ এর প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
বুধবার (২৭ জুলাই) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রথম ডিজিটাল ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২’-এর প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এ ফলাফল জানানো হয়। সারাদেশে গত ১৫ জুন একযোগে শুরু হয় জনশুমারি ও গৃহগণনা কার্যক্রম। গত ২১ জুন জনশুমারি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলায় বন্যা শুরু হওয়ায় এসব জেলায় শুমারি কার্যক্রম ২৮ জুন পর্যন্ত চলে।
প্রতিবেদন প্রকাশনা অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন। প্রাথমিক প্রতিবেদন বিষয়ক উপস্থাপনা করেন প্রকল্প পরিচালক মো. দিলদার হোসেন।
এতে জানানো হয়, দেশের মোট জনসংখ্যা এখন ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। যেখানে ৮ কোটি ১৭ লাখ পুরুষ ও ৮ কোটি ৩৩ লাখ নারী। ১২ হাজার ৬২৯ জন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ।
বিভাগ বিবেচনায় কোন কোন বিভাগের মানুষ টয়লেট সুবিধা কেমন পাচ্ছেন এবং তার ধরন কী- এমন তালিকায় গিয়ে দেখা যায়, দেশের মোট জনসংখ্যার শতকরা ৫৬ দশমিক শূন্য চার শতাংশ মানুষ ফ্লাশ করে কিংবা পানি ঢেলে নিরাপদ নিষ্কাশন করেন। তবে ঢাকার মানুষ ফ্লাশ করেন ৬৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
ঢাকা বিভাগে ফ্লাশ করেন না বা বেশি করে পানি ঢেলে নিরাপদ নিষ্কাশন করেন না ১১ দশমিক ৭৭ শতাংশ মানুষ। স্ল্যাবসহ পিট ল্যাট্টিন, ভেন্টিলেটেড ইমপ্রুভড ল্যাট্রিন বা কম্পোস্টিং ল্যাট্রিন ব্যবহার করেন ১৫ শতাংশ। এদিক থেকে ঢাকা বিভাগের সমপর্যায়ে রয়েছে একমাত্র বিভাগ, সেটা সিলেট। স্ল্যাব ছাড়া পিট ল্যাট্রিন বা উন্মুক্ত পিট ব্যবহার করেন ২ দশমিক শূন্য ১৭ শতাংশ। এ ধরনের টয়লেট ব্যবহারে বাকি সব বিভাগ ঢাকার তুলনায় এগিয়ে। কাঁচা/খোলা/ঝুলন্ত ল্যাট্রিন অস্থায়ী বা স্থায়ীভাবে ব্যবহার করেন ১ দশমিক শূন্য ৪৩ শতাংশ, যা অন্য বিভাগে তুলনায় কম। ঢাকায় খোলা জায়গায় ল্যাট্রিন করেন বা ল্যাট্রিন নেই এ সংখ্যা শূন্য দশমিক ২৮ শতাংশ, যা সবচেয়ে কম।
এমআইএস/এএসএ/জেআইএম