চার দশকে জনসংখ্যার গড় বৃদ্ধি হার কমেছে ১ দশমিক ৬২ শতাংশ
চার দশকে জনসংখ্যার গড় বৃদ্ধি হার কমেছে ১ দশমিক ৬২ শতাংশ। ১৯৮১ সালে যেখানে জনসংখ্যার গড় বৃদ্ধি ছিল ২ দশমিক ৮৪ শতাংশ, ৪১ বছর পর ২০২২ সালে তা কমে ১ দশমিক ২২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। দেশের মোট জনসংখ্যা এখন ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। যেখানে ৮ কোটি ১৭ লাখ পুরুষ ও ৮ কোটি ৩৩ লাখ নারী আর ১২ হাজার ৬২৯ জন তৃতীয় লিঙ্গ।
বুধবার (২৭ জুলাই) নগরীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের আওতায় বিবিএস-এর মাধ্যমে বাস্তবায়িত প্রথম ‘ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২’ এর প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এসময় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন। প্রাথমিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক মো. দিলদার হোসেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়- ১৯৮১, ১৯৯১, ২০০১, ২০১১ ও ২০২২ সালে জনসংখ্যার গড় বার্ষিক হার ছিল যথাক্রমে ২ দশমিক ৮৪ শতাংশ, ২ দশমিক ১ শতাংশ, ১ দশমিক ৫৮ শতাংশ, ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ ও ১ দশমিক ২২ শতাংশ।
একই সময়ে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল যথাক্রমে ২১ দশমিক ৮৮ শতাংশ, ২২ দশমিক ০৩ শতাংশ, ১৬ দশমিক ৯৭ শতাংশ, ১৫ দশমিক ৮৩ শতাংশ ও ১৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
১৯৭৪ সালে জনশুমারিতে দেশের জনসংখ্যা ছিল ৭ কোটি ১৪ লাখ। ৪৮ বছরে বছরে জনসংখ্যা বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি বা ২ দশমিক ৩১ গুণ। আর বিভাগভিত্তিক জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার লক্ষ করলে দেখা যায়, ২০২২ সালে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চ ১ দশমিক ৭৪ শতাংশ, সর্বনিম্ন বরিশাল বিভাগে ০ দশমিক ৭৯ শতাংশ।
এছাড়া চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, রংপুর, সিলেটে এই হার যথাক্রমে- ১ দশমিক ৩৯ শতাংশ, ০ দশমিক ৯৩ শতাংশ, ০ দশমিক ৮৬ শতাংশ, ০ দশমিক ৯৮ শতাংশ ও ০ দশমিক ৯৬ শতাংশ।
এসএম/এসএইচএস/এএসএম