নজরদারিতে নেই পলিথিন ও প্লাস্টিক কারখানা
বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম বলেছেন, ব্যাঙের ছাতার মত গজানো পলিথিন কারখানাগুলোর কোনো আইনি বৈধতা নেই। দেশে শুধুমাত্র শতভাগ রফতানিমুখী শিল্প হিসেবে পলিথিন উৎপাদনের সুযোগ রয়েছে। কিন্তু বিনিয়োগ বোর্ড, এনবিআর, পরিবেশ মন্ত্রণালয় এগুলো নজরদারি করছে না।
রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) ও বাংলাদেশ পরিবেশ বান্ধব শপিং ব্যাগ প্রস্তুতকারক অর্গানাইজেশন (বিইএসএমও) আয়োজিত `নিষিদ্ধ পলিথিনে পরিবেশ বিপর্যয় এবং পাটজাত ও পরিবেশ বান্ধব পণ্য বিস্তারের চ্যালেঞ্জসমূহ` শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা আজম বলেন, পলিথিন প্যাকেটের ব্যবহার বন্ধে ও পাটজাত পণ্যের প্যাকেজিং নিশ্চিতে ম্যান্ডেটরি প্যাকেজিং অ্যাক্ট ২০১০ বাস্তবায়ন করতে গিয়ে পলিথিন ও প্লাস্টিক ব্যবসায়ীদের বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। তাদের কর্তৃক লাঞ্ছিতও হয়েছি। আর সেই দৃষ্টিকোনে আপনার (পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন) বাইরে থেকে পরিবেশ ধ্বংসকারী পলিথিনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন, আর আমাকে সরকারে থেকে আন্দোলন করতে হচ্ছে।
বিদেশি সাহায্য সংস্থা ও বিশ্ব ব্যাংকের পরামর্শে ২০০১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া পাটশিল্পকে ধ্বংসে আদমজী জুট মিল বন্ধ করে দিয়েছিলেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) চেয়ারম্যান আবু নাসের খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় সংগঠনটির যুগ্ম সম্পাদক ডা. লেলিন চৌধুরী, নির্বাহী সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আব্দুস সোবহান, বিইএসএমও`র সভাপতি আব্দুর রহমান বাবলা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এএস/আরএস/এমএস