তারা কাজ করে পেটে ভাতে
সাতক্ষীরা জেলা সদর ছাড়াও বিভিন্ন উপজেলাগুলোতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে শিশুরা। যে বয়সে তাদের বই-খাতা নিয়ে স্কুলে যাওয়ার কথা আর সে বয়সেই তারা জড়িয়ে পড়েছে শিশুশ্রমে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, অনেকটা অভাবের তাড়নায় স্কুল বাদ দিয়ে তারা সংসারের হাল ধরেছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এসব শিশুরা কঠিন পরিশ্রম করে চলেছে।
বেশির ভাগ শিশুরাই ইঞ্জিন ভ্যান তৈরি, লেদ মেশিন, হোটেল রেস্তোরা, বেকারি, ইটভাটা, চায়ের দোকানসহ বড় বড় বিল্ডিং তৈরির কাজ করছে। যা জীবনের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। এসব শিশুদের বয়স ৭/১৩ বছরের মধ্যে। প্রতিদিন সর্বোচ্চ ২৫/৫০ টাকা পারিশ্রমিক পায় এসব শিশুরা। অনেক শিশুরা আবার কাজ করে পেটে ভাতে।
শিশুশ্রমে বিষয়টি নিয়ে আইনি বাধা থাকলেও আইনের প্রয়োগ না থাকায় শিশু শ্রমিকের সংখ্যা দিন দিন বাড়েছে। ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তাদের দিয়ে কাজ করানো হয়। কাজ না করলে করা হয় মারধর।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে বেশ কয়েকজন হোটেল মালিক জাগো নিউজকে বলেন, জানি শিশুদের কাজে নেয়া অন্যায়। তারপরও আমার কাজের প্রয়োজন আর এদের অল্প টাকা দিলেই হয়। খুব বেশি চাহিদা থাকে না।
পাটকেলঘাটা এলাকার চায়ের দোকানে কর্মরত শিশু সাগর জাগো নিউজকে জানায়, আমরা গরীব, কাজ না করলে খামু কি? লিখাপড়া শিখে কি হবে।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এএফএম এহতেশামুল হক জাগো নিউজকে জানান, আসলে শুধু আইনের প্রয়োগের মাধ্যমে শিশুশ্রম বন্ধ করা সম্ভব নয়। এ বিষয়ে গণসচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন। তবে শিশুদের দিয়ে কাজ করাচ্ছেন এমন সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে অবশ্যই ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এআরএ/আরআইপি