চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধির দাবিতে শাহবাগে বিক্ষোভ
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নূন্যতম ৩৫ বছর করার দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার বিকেল ৪টা থেকে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা শাহবাগ মোড়ের রাস্তা অবরোধ করে রাখে তারা। পরে পুলিশ তাদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেন। এছাড়া দুই আন্দোলনকারীকে আটক করে শাহবাগ থানা পুলিশ।
সন্ধ্যায় শাহবাগে দেখা যায়, আন্দোলনকারীরা বিক্ষিপ্তভাবে বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করছেন। গ্রেফতারকৃত দুইজনকে ছেড়ে দিলে তারা শাহবাগ ত্যাগ করবেন বলে জানায়।
জানা গেছে, শুক্রবার বিকেল ৩টায় আন্দোলনকারীরা জাতীয় জাদুঘরের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। পরে দাবি আদায়ের লক্ষে শাহবাগে অবস্থান নিয়ে মুহুর্মুহু স্লোগানে প্রকম্পিত করে গোটা এলাকা। পরে পুলিশ তাদের ব্যানার কেড়ে নিয়ে শাহাবাগ চত্বর থেকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। এসময় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধাক্কাধাক্কি হয়।
একপর্যায়ে পুলিশ সংগঠনের সভাপতি ইমতিয়াজ হোসেন ও সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুজ্জামান চন্দনকে আটক করে। এতে বিক্ষোভাকারীরা পিছু হটে জাতীয় যাদুঘরের সামনে অবস্থান নেয়। এর আগে বিক্ষোভকারীদের সরে যাওয়ার জন্য পুলিশ বেশ কয়েকবার মাইকিং করে। এছাড়া জলকামানসহ একদল দাঙ্গা পুলিশ সেখানে অবস্থান নেয়।
অবরোধের সময় বিক্ষুব্ধরা বলেন, উন্নত বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করতে হবে। সেশনজটের কারণে শিক্ষার্থীদের সময় নষ্ট হয়। ফলে চাকরিতে প্রবেশের বর্তমান সময় অনুযায়ী অনেক শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবনই শেষ হয়না। তাই সাধারণ শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে বয়সসীমা বাড়াতে হবে। তারা বলেন, চাকরি থেকে অবসরে যাওয়ার বয়স বাড়লে, প্রবেশের বয়স বাড়বে না কেন?
পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তিতুমীর কলেজের সঞ্জয় কুমার দাস বলেন, আমরা সব ধরনের চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে আন্দোলন করেছি। কারণ সেশনজটসহ নানা কারণে আমাদের লেখাপড়া শেষ হতে হতে চাকরির বয়স প্রায় ফুরিয়ে যায়। তাহলে কখন আমরা চাকরির প্রস্তুতি নেব, আর কখনই বা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে আমরা চাকরি পাব?’
এমএইচ/এএইচ/পিআর