চলমান পরিস্থিতি নিয়ে রাষ্ট্রের চার প্রধানের বৈঠক


প্রকাশিত: ০৭:৫০ পিএম, ২৮ জানুয়ারি ২০১৬

বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে বৈঠক ও নৈশভোজে অংশ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাদের সঙ্গে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহাও ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতের এই অনুষ্ঠানে আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক ও রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমও উপস্থিত ছিলেন।

সন্ধ্যার পরপরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গভবনে প্রবেশ করেন। তার আগেই প্রবেশ করেন আইনমন্ত্রী। পরে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহর বঙ্গভবন থেকে বের হতে দেখা যায়।

অবসরের পর রায় লেখা নিয়ে প্রধান বিচারপতির মন্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার মধ্যে রাষ্ট্রপ্রতির বাড়িতে একত্রিত হলেন সরকার প্রধান ও বিচারাঙ্গন সংশ্লিষ্ট শীর্ষ কর্মকর্তারা। এই বিষয়ে রাষ্ট্রপতির কার্যালয় কিংবা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পক্ষ থেকে মিডিয়াতে এখনো কোনো কথা বলা হয়নি।

জানা গেছে, বিচারপতিদের অবসরে যাওয়ার পর রায় লেখা নিয়ে চলমান বিতর্কের মধ্যে বৃহস্পতিবার রাতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী, প্রধান বিচারপতি, আইনমন্ত্রী ও অ্যাটর্নি জেনারেলের বৈঠক হয়েছে। আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এই বৈঠকের বিষয় নিশ্চিত করেন।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত বঙ্গভবনে তাদের এ বৈঠক চলে। আনিসুল হক বলেন, এটি একটি নৈশভোজ ছিল। তবে সেখানে দেশের চলমান বিভিন্ন পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন কথা উঠে এসেছে।

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা দায়িত্ব গ্রহণের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে বাণীতে বলেছিলেন, বিচারপতিদের অবসরের পর রায় লেখা সংবিধানপরিপন্থি। এ নিয়ে রাজনৈতিক মহল ও বিচারাঙ্গনে নানামুখী আলোচনা চলছে।

গত ২৬ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, অবসরে যাওয়ার পর কোনো বিচারকের রায় লেখা অসাংবিধানিক হতে পারে না। তার পরের অবস্থায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী, প্রধান বিচারপতি, আইনমন্ত্রী ও অ্যাটর্নি জেনারেলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো।

এফএইচ/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।