শেরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনির্দিষ্টকালের চিকিৎসা সেবা বন্ধ


প্রকাশিত: ০২:৩৪ পিএম, ২৮ জানুয়ারি ২০১৬

বগুড়ার শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছাত্রলীগের হামলা ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য বহির্বিভাগের চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকেলে ডা. মোখলেছুর রহমান বাদী হয়ে দুইজনকে আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।

ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে চিকিৎসা সেবা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন অনেক রোগী। এদিকে ঘটনার পর থেকে হাসপাতাল এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, হাসপাতালে রোগীদের খাবার সরবরাহের জন্য সম্প্রতি দরপত্র আহ্বান করা হয়। গত ৩০ ডিসেম্বর ছিল দরপত্র জমাদানের শেষ সময়। সে অনুযায়ী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নূরে আলম সানি ও সরকার সমর্থক খোকন মিয়া দরপত্র দাখিল করেন। মঙ্গলবার দরপত্র আহ্বানকারী কমিটি সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে খোকন মিয়াকে ওই কাজের জন্য মনোনীত করে কার্যাদেশ দেয়া হয়।

এদিকে, রোগীদের খাবার সরবরাহের কাজ না পেয়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নূরে আলম সানি তার সমর্থকরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। এর জের ধরে বুধবার সন্ধ্যায় নূরে আলম সানির নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী হাসপাতালে হামলা চালায়। এসময় হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মামুনুর রশীদ ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামকে তারা মারপিট করে। এতে তারা দুইজনেই আহত অবস্থায় হাসপাতাল এলাকা ছেড়ে চলে যান।

এ ঘটনায় আহত হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মামুনুর রশীদ জানান, তারা দায়িত্ব পালনকালে ১৫/২০ জনের একটি দল অতর্কিত হামলা চালায়।

এ ব্যাপারে শেরপুরের অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা নূরে আলম সানি জানান, তিনি নিয়মিত হাসপাতালের রোগীদের খাবার সরবরাহ করে আসছেন। এবারো তিনি কাজ পেয়েছেন বলে শুনেছেন। কিন্তু হাসপাতালে এসে জানতে পারেন তাকে কাজ দেয়া হয়নি। হাসপাতালের প্রধান কর্মকর্তা অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অন্য একজনকে কাজ দিয়েছেন। তবে সেখানে কোনো হামলা চালানো হয়নি। তারা বিষয়টি জানতে গিয়েছিলেন মাত্র।

শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান জানান, হামলাকারীদের গ্রেফতার ও আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে দুপুরের পর থেকে হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা সেবা বন্ধ করেছেন। তবে হাসপাতালে আগের ভর্তি হওয়া রোগীদের সেবা যথারীতি চলছে।

তিনি আরো জানান, সন্তোষজনক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া না হলে জরুরি বিভাগ বন্ধসহ কঠোর আন্দোলনে নামা হবে।

এই সিদ্ধান্তের ফলে অনেক রোগীই বহির্বিভাগে চিকিৎসা সেবা নিতে এসে ফিরে যাচ্ছেন।

শেরপুর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান জানান, এ ঘটনায় ডা. মোখলেছুর রহমান বাদী হয়ে নূরে আলম সানিসহ দুইজনকে আসামি করে থানায় অভিযোগ করেছেন। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

এ ব্যাপারে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম সরোয়ার জাহান বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যেভাবে আইনি সহায়তা চাইবে, সেইভাবেই ব্যবস্থা দেয়া হবে।

এআরএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।